Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

মোমো কি সত্যি, সংশয়ে সিআইডি

মোমো গেমকে একেবারেই ভুয়ো ভেবে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন, সিআইডি-র কর্তা। এ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। কয়েকটি জেলায় মোমো গেম নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

সাংবাদিক বৈঠকে দেখানো ভুয়ো মোমো গেম।

সাংবাদিক বৈঠকে দেখানো ভুয়ো মোমো গেম।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৮ ০১:২৫
Share: Save:

এখনও পর্যন্ত ‘মোমো গেম’-এর কোনও সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে দাবি করল সিআইডি।মঙ্গলবার ভবানী ভবনে সিআইডি-র ডিআইজি (অপারেশন) নিশাদ পারভেজ বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত সিআইডি-র কাছে নির্দিষ্ট ভাবে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’’ ভুয়ো ‘মোমো গেম’ অনায়াসে তৈরি করা যায় বলেও এ দিন দাবি করেছেন ডিআইজি। এবং তা করাও হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডি-র ওই কর্তা। সিআইডি-র সাইবার সেলের এক অফিসার তা তৈরি করে পারভেজের মোবাইলে পাঠিয়েছেনও। এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে ওই ভুয়ো মোমা গেমটি তিনি দেখান।

তবে মোমো গেমকে একেবারেই ভুয়ো ভেবে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন, সিআইডি-র কর্তা। এ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। কয়েকটি জেলায় মোমো গেম নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযোগের কোনও সত্যতা তদন্তে উঠে আসেনি বলে দাবি করছেন সিআইডি-র কর্তারা। মোমোর বিষয়ে ইতিমধ্যেই সিআইডি-র সাইবার সেল অনুসন্ধান শুরু করেছে।

সিআইডি-কর্তার কথায়, এর জন্য একটি আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তাই এখন থেকেই সচেতন ও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। জেলা পুলিশ সুপার ও বিভিন্ন কমিশনারেটের কর্তাদের সচেতনতার প্রচারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে মোমোর বিষয়ে প্রচার করার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি অভিভাবকদেরও ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সর্তক থাকতে বলা হচ্ছে। সিআইডি সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি ওই ধরনের মেসেজ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, যে সব নম্বর থেকে ভুয়ো মোমো গেম খেলার প্রস্তাব আসছে, সেই সব ক্ষেত্রে বিদেশি নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু এ দেশের অনেকেই বিদেশি নম্বর ব্যবহার করেন। মোমোর ধুয়ো তুলে অনেকেই আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে। যদি ওই ধরনের মেসেজ ছড়ানো সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়। তা হলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।

আরও পড়ুন: মোমোর গণহিড়িকে পোয়াবারো ভুয়ো গেমের

ডিআইজি বলেন, ‘‘ওই ধরনের মেসেজ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে। নানা স্তরে অনুসন্ধানের প্রয়োজন রয়েছে। সিআইডির নিজস্ব সাইবার সেল মারফত সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।’’ সিআইডি-র কর্তাদের কথায়, যদি কোনও মোবাইলে মোমো ধরনের কোনও মেসেজ আসে তা হলে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আতঙ্ক ছড়ানোর আগেই পুলিশি তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। কলকাতা পুলিশ-সহ রাজ্যর কয়েকটি থানায় মোমো-মেসেজের অভিযোগ দায়ের হলেও সিআইডির কাছে এখন পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। এ নিয়ে সিআইডি এবং কলকাতা পুলিশের তরফে দু’টি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। সিআইডি’র হেল্পলাইন নম্বর-০৩৩২৪৫০৬১০০। কলকাতা পুলিশের নম্বর-৮০১৭১০০১০০।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CID Momo Cyber Cell
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE