Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি নয়, বার্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

রবিবার পোখরিওয়াল বলেন, ‘‘মোদী সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই রাজনীতি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করবে না।’’

কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল।

কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:১৫
Share: Save:

দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি রাজনীতির আখড়া হয়ে উঠেছে অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দেশের নানা শহরে পথে নেমেছে ছাত্র-ছাত্রীরা। সেই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই দেখছে বিরোধীরা। কলকাতায় এসে রবিবার পোখরিওয়াল বলেন, ‘‘মোদী সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই রাজনীতি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করবে না।’’

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য এই অভিযোগ নস্যাৎ করে বলেন, ‘‘তিনি যে সব প্রতিষ্ঠানের কথা বলছেন, সেগুলিই আন্তর্জাতিক স্তরের সম্মান ও স্বীকৃতি আদায় করে চলেছে। তা ছাড়া, ছাত্র-ছাত্রীরাই দেশের স্বার্থে রাজনীতির কথা বলবেন। আমরা অমর্ত্য সেনের মতো শিক্ষককে শিক্ষার উন্নয়নে রাজ্যে এনেছি। আর বিজেপির মতো সরিয়ে দিইনি!’’ বাম ছাত্র সংগঠনগুলিও জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ‘ফতোয়া’ উপেক্ষা করেই ছাত্র সমাজের প্রতিবাদ চলবে। কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে এ দিন শিক্ষায় কেন্দ্রীয় বরাদ্দের সদ্ব্যবহার করতে না পারার অভিযোগও করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পোখরিয়াল বলেন, ‘‘২০১৮-২০১৯ অর্থবর্ষে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের দেওয়া প্রায় ৩৭০ কোটি টাকা খরচ করতে পারেনি। আর তার পরের অর্থবর্ষের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে পারেনি।’’ পার্থবাবুর জবাব, ‘‘কোন অর্থ তাঁরা কখন দিয়েছেন, মানুষকে তা জানান। তা হলেও বোঝা যাবে, বরাদ্দের কী হয়েছে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE