তীব্র গরমে এমনিতেই নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। গোদের উপরে বিষফোঁড়া ঘন ঘন লোডশেডিং। এই দ্বিমুখী ফলায় প্রায় ফালাফালা অবস্থা সাধারণ মানুষের। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে বিশ্বকাপ ফুটবল। ফলে খেলা দেখতে বিঘ্ন ঘটায় আগুনে ঘি ঢালার মতোই ক্ষোভ ছড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে মঙ্গলবার রাজ্যের বিদ্যুৎকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, তীব্র দহনে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর আসায় মন্ত্রী নিজেও খানিকটা অস্বস্তিতে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পেলেই দ্রুত সেই জায়গায় গিয়ে তা সারানোর নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। তৎক্ষণাৎ মেরামতির কাজে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে জন্য ঠিকাকর্মীর সংখ্যা বাড়াতে ইতিমধ্যেই রাজ্য সাত কোটি টাকা বরাদ্দ করছে।
বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকেই রাজ্যের প্রায় সর্বত্র লোডশেডিং শুরু হয়েছে। রাত ১১টার পরে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার খবর আসছে। কোথাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ থাকছে। কোথাও আবার লো-ভোল্টেজের কারণে আলো, পাখা, এসি, টেলিভিশন চলছে না। সিইএসসি এলাকায় বিক্ষিপ্ত দু-একটি ঘটনা ঘটলেও, বেশি ভুগতে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার গ্রাহকদের।