চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
এমসে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় আগেও সিআইডি তাঁকে ও তাঁর পুত্রবধূকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সূত্রের খবর, দু’দিন আগে ফের তারা চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের খোঁজে নদিয়ায় আসে। কিন্তু তার পরে বিধায়ক কোথায় গেলেন, দলের কেউই বলতে পারছেন না।
নদিয়ার এই বিধায়ককে শেষ বার দেখা গিয়েছে শুক্রবার রানাঘাটে বিজেপির একটি অবরোধ কর্মসূচিতে। পরিবার সূত্রের দাবি, সন্ধ্যায় তিনি হরিণঘাটার বড় জাগুলিয়ার বাড়িতে ফেরেন। তার পরে রাতেই নিজের গাড়িতে বেরিয়ে গিয়েছেন। সেই থেকে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ। তাঁর স্ত্রী সুজাতা ঘোষ শনিবার সকালে বলেন, “উনি কলকাতায় চিকিৎসা করাতে গিয়েছেন। দু’-তিন দিন পর বাড়ি ফেরার কথা।” রবিবার সুজাতাকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
এক কালের সিপিএম নেতা, বাম জমানার মন্ত্রী বঙ্কিম ঘোষ ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগেই বিজেপিতে যোগ দেন। ২০২১ সালে তাদের টিকিটেই ফের বিধায়ক হন। কল্যাণী এমসে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় বিজেপির দুই সাংসদ ওএক বিধায়কের সঙ্গে তাঁর নামও জড়িয়েছে। বিধায়ককে কলকাতায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। বাড়িতে গিয়ে তাঁর পুত্রবধূকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
বিজেপি সূত্রের দাবি, শুক্রবার সন্ধ্যার পরে সিআইডির তিন অফিসার দু’বার বড় জাগুলিয়ায় বঙ্কিমের বাড়িতে যান। রাত পৌনে ১২টা নাগাদ নিজের গাড়িতেই বঙ্কিম সিআইডি-র কাছে গিয়েছিলেন। যদিও তাঁর স্ত্রী সিআইডি-র আসার কথা অস্বীকার করেছেন। পুলিশেরও দাবি, তাদের কাছে এমন কোনও খবর নেই।
কিন্তু তাতে থামছে না বিজেপির অন্দরের জল্পনা। হরিণঘাটার বাসিন্দা, দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক মীনাক্ষী দে-র দাবি, “গত দু’দিনের মধ্যে বঙ্কিমদাকে ফোন করিনি। কোথায় আছেন, বলতে পারব না।” কল্যাণীর এক বিজেপি নেতা দাবি করেন, “বঙ্কিমদার সঙ্গে শনিবার কথা হয়েছে। রবিবার সকালেও হয়েছে। অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই আছেন। কারও সঙ্গে দেখা করছেন না।”
এমসে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত, রানাঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জগন্নাথ সরকার বলেন, “বঙ্কিমদা অসুস্থ। বিশ্রামে আছেন।” চাকদহের এক বিজেপি নেতার দাবি, কলকাতায় বিধায়কদের হস্টেলে আছেন বঙ্কিম। যদিও বিধায়ক আবাস সূত্রের খবর, তিনি সেখানে নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy