Advertisement
E-Paper

দিল্লির সম্মেলনে উপাচার্যদের রুখে সংঘাতে নবান্ন

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ওই সম্মেলন শুরু হয়েছে। পৌরোহিত্য করছেন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৮ ০২:০০
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

এপ্রিলেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র ওয়েবসাইটে উপাচার্যদের জাতীয় সম্মেলনের কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল সরকার চাইছে না, কেন্দ্রের ডাকা ওই সম্মেলনে এই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যেরা যোগ দিন। বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে উপাচার্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সম্মেলনে যাওয়া চলবে না।

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ওই সম্মেলন শুরু হয়েছে। পৌরোহিত্য করছেন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। রাজ্যের উপাচার্যদের আজ, শুক্র এবং কাল, শনিবার
তাতে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। এপ্রিলে ইউজিসি-র ওয়েবসাইটে সম্মেলনের কথা জানানোর পরে উপাচার্যদের চিঠিও দেওয়া হয়। কিন্তু সম্মেলনের দিন ঘাড়ে এসে পড়ার পরেই উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে উপাচার্যদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে বলে বিকাশ ভবনের খবর। উচ্চশিক্ষা দফতরের এক কর্তা ফোনে উপাচার্যদের জানান, ওই সম্মেলনে যোগ দেওয়া চলবে না।

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য এ দিন জানান, তিনি এই বিষয়ে উপাচার্যদের কিছু বলেননি। তবে শিক্ষা সূত্রের খবর, তাঁর দফতরকে কিছু না-জানিয়ে কেন্দ্র সরাসরি উপাচার্যদের সম্মেলনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় শিক্ষামন্ত্রী ক্ষুব্ধ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপাচার্যের বক্তব্য, কেন্দ্র-রাজ্য তিক্ততার কারণেই যে উপাচার্যদের বারণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত স্পষ্ট।

কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে এমন সংঘাত নতুন নয়। ২১ জুন যোগদিবস পালনের জন্য ই-মেল করে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সরাসরি অনুরোধ করেছিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। রাজ্যপালের এই ভূমিকায় শিক্ষামন্ত্রী রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। এই নিয়ে শিক্ষা দফতরকে কিছু জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এর আগে শিক্ষক দিবস পালন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের শোনানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ সম্প্রচার নিয়েও কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাত বেধেছিল রাজ্যের। সংঘাত হয়েছিল ভারতের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী বল্লভভাই পটেলের জন্মদিন পালন নিয়েও।

কেন্দ্রের ডাকা আজকের সম্মেলনে যে মূলত চারটি বিষয়ে আলোচনা হবে, এপ্রিলেই তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই চারটি বিষয় হল: সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যাবতীয় কাজকর্মে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার, পঠনপাঠনের মান উন্নয়ন, পড়ুয়াদের বৃত্তিমূলক কুশলতা বাড়ানো, গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধি। রাজ্যের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, এই সব বিষয়ে তাঁরা মাসখানেক ধরে প্রস্তুতি চালিয়েছেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে যাওয়ার প্রশ্ন ওঠে না।

Education Politics Vice Chancellor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy