Advertisement
০২ মে ২০২৪

মাইক নিয়ে ফের বিতর্ক মান্নান-বিকাশদের সভায়

শনিবার বিকেলে ফের রাজার বাড়ির কাছে সভা করে ওই ফোরাম। সভা শুরুর মুখে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ অফিসাররা জানান, মাইক বেঁধে সভা করা যাবে না। সভায় হাজির লোকজন পাল্টা যুক্তি দেন।

সদস্যদের সঙ্গে সভা করতে বাধা পুলিশের (বাঁ দিকে) সান্ত্বনা রাজার মাকে (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র

সদস্যদের সঙ্গে সভা করতে বাধা পুলিশের (বাঁ দিকে) সান্ত্বনা রাজার মাকে (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৩৭
Share: Save:

ফের শ্রীরামপুরে তরুণ ফুটবলার স্নেহাশিস দাশগুপ্ত ওরফে রাজার মৃত্যুতে ‘সেভ ডেমোক্রেসি’র সভায় মাইক বিতর্ক!

গত ৮ অক্টোবর রাজার বাড়িতে এসে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য-সহ ‘সেভ ডেমোক্রেসি’র অন্য সদস্যেরা উপযুক্ত তদন্ত দাবি করেন। ওই দিন ফোরামের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, পুলিশ তাদের মাইক বেঁধে সভা করতে দেয়নি। হ্যান্ডমাইক নিয়ে সভা করতে হয়। শনিবার বিকেলে ফের রাজার বাড়ির কাছে সভা করে ওই ফোরাম। সভা শুরুর মুখে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ অফিসাররা জানান, মাইক বেঁধে সভা করা যাবে না। সভায় হাজির লোকজন পাল্টা যুক্তি দেন। কেন মাইক বাঁধা যাবে না, সেই প্রশ্নও তোলেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হয়। শেষ পর্যন্ত মাইক বেঁধেই সভা হয়।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর শ্রীরামপুরের মাল গুদামের কাছে রেললাইনে রাজার দেহ মিলেছিল। শেওড়াফুলি জিআরপি থানায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা পিন্টু নাগ, তাঁর স্ত্রী তথা পুরসভার কাউন্সিলর মৌসুমী-সহ পাঁচ জন‌ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের বাবা দোলন দাশগুপ্ত। খুন ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে পিন্টু-সহ চার জনকে গ্রেফতার করে রেল পুলিশ।

এ দিনের সভায় দোলনবাবু এবং তাঁর স্ত্রী রিঙ্কুদেবীও ছিলেন। সিপিএম নেতা বিকাশবাবুর দাবি, ‘‘সভার কথা ১০ দিন আগেই পুলিশকে জানানো হয়েছি‌ল। মাইক লাগানো যাবে না, পুলিশ বলেনি। সভা বানচালের চেষ্টা করে পুলিশ অবিবেচকের মতো কাজ করেছে। এই তৎপরতা তদন্তে দেখালে দোষীরা শাস্তি পাবে। সঠিক তদন্ত হোক।’’ এই প্রসঙ্গে মান্নান পুলিশকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন। মান্নান বলেন, ‘‘ভদ্রেশ্বরের পুরপ্রধান খুনের পরে শাসকদলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের ধরা হবে বললেন। এ ক্ষেত্রে এমন বিবৃতি কেউ দিলেন না কেন?’’ রিঙ্কুদেবীর অভিযোগ, ছেলের মোবাইল ফোন এখনও উদ্ধার হয়নি। অভিযুক্ত সবাই ধরা পারেনি।

মাইক-বিতর্ক নিয়ে চন্দননগর কমিশনারেটের কর্তাদের বক্তব্য, কোনও সভায় মাইক বাজাতে হলে কমিশনারেটে বিধিবদ্ধ আবেদন করতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। সেই কারণেই পুলিশের তরফে মাইক বাঁধা নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE