Advertisement
E-Paper

দুয়োরানি নয়, উত্তরবঙ্গ দাবি মমতার

উত্তরবঙ্গের পহাড়, জঙ্গল, তরাইডুয়ার্স, দুই দিনাজপুর, মালদহের কথা উল্লেখ করেন। পাহাড়ের শান্তি উন্নয়নে এই সরকার যে আন্তরিক সেই প্রসঙ্গ তুলেছেন। আজ, মঙ্গলবার দীর্ঘ দিন বাদে পাহাড়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

সৌমিত্র কুণ্ডু

শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩১
তৃণমূলের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দলের নেতারা। নিজস্ব চিত্র

তৃণমূলের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দলের নেতারা। নিজস্ব চিত্র

উত্তরবঙ্গকে আর অবহেলিত বলা যাবে না। বরং উত্তরবঙ্গ এখন গর্ব করতে পারে। সোমবার শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে তৃণমূলের ছাত্র যুব কনভেনশনে তাঁর বক্তৃতার শুরুতেই সে কথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি, মিনি সচিবালয় তো হয়েইছে, এখন রাজবংশী, কামতাপুরি ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে। তাই বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বললেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের জেলাগুলো এতদিন অবহেলিত ছিল। উত্তরবঙ্গকে তাই দুয়োরানি বলত। উত্তরবঙ্গ জেলাগুলো এতদিন কেউ দেখত না। এখন পরিবর্তন হয়েছে। উত্তরবঙ্গের নিজস্ব সেক্রেটারিয়েট উত্তরকন্যা হয়েছে। দু’টি জেলা হয়েছে আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পং। উত্তরবঙ্গ এখন গর্ব করতে পারে।’’

উত্তরবঙ্গের পহাড়, জঙ্গল, তরাইডুয়ার্স, দুই দিনাজপুর, মালদহের কথা উল্লেখ করেন। পাহাড়ের শান্তি উন্নয়নে এই সরকার যে আন্তরিক সেই প্রসঙ্গ তুলেছেন। আজ, মঙ্গলবার দীর্ঘ দিন বাদে পাহাড়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। মঞ্চ থেকেই বলেছেন, ‘‘আবার আমার পাহাড়ের মানুষের কাছে যাব। পাহাড়ে শান্তির জন্য, উন্নয়নের জন্য যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের অভিনন্দন।’’

পঞ্চায়েত ভোটকে লক্ষ্য রেখে এদিন ছাত্র যুব কর্মশালায় দলের সমস্ত স্তরের নেতা, কর্মীদের সামিল করা হয়। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও উত্তরবঙ্গের জন্য এই সরকারের ভূমিকা তুলে ধরেছেন। অভিষেকের কথায়, বিরোধীদের চেষ্টা সত্ত্বেও দার্জিলিংকে তারা অশান্ত করতে পারেনি। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে স্কুল, কলেজ, কর্মসংস্থান হচ্ছে। আর অশোক ভট্টাচার্যের মতো নেতারা শিলিগুড়িতে বসে ‘হম্বিতম্বি’ করছেন। মুখ্যমন্ত্রী অন্তত ৮০ বার উত্তরবঙ্গে, দার্জিলিঙে গিয়েছেন। উত্তরবঙ্গের ছাত্র যুবদের প্রতি যুব সভাপতির নির্দেশ, জীবন গেলেও বাংলার ঐক্যকে নষ্ট হতে দেওয়া চলবে না।

শিলিগুড়ি মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে উন্নয়ন করছেন দাবি করলেও মূল সমস্যার সমাধান হয়নি। কোচবিহারে চকচকা শিল্প কেন্দ্রের পরিস্থিতি ভাল নয়। জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চ হয়নি, কোচবিহার বিমানবন্দর চালু করা যায়নি। মেয়রের কথায়, ‘‘কোনও নতুন শিল্প এখানে হয়নি। কর্ম সংস্থান হয়নি।’’ উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে থাকা বিজেপির রাজ্য নেতা বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীর কথায়, ‘‘এটা তৃণমূলের লোক দেখানো নাটক হচ্ছে। উত্তরকন্যা তৈরি করলেই হল না। সেখানে কী কোনও কাজ হয়? আর পাহাড়ে বারবার গিয়ে ঘুরে এলেই তো হল না। কী করেছেন, সেটা তো দেখতে হবে।’’

সুব্রতবাবুর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের বার্তা দিয়ে দার্জিলিঙের চেহারা বদলে দিয়েছেন। রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা দল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য দার্জিলিঙে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করল। মুখ্যমন্ত্রীও ছেড়ে দেওয়ার মানুষ নন। দার্জিলিংকে দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা করবেন।’’

Mamata Benerjee North Bengal Kanchenjunga Stadium মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy