Advertisement
E-Paper

দুয়ারে শিবিরে স্টল নেই একশো দিনের

একশো দিনের কাজে বাকি রয়েছে একশো কোটি টাকারও বেশি। প্রশাসনের নির্দেশে, একশো দিনের প্রকল্পে চলতে থাকা সব কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন পরিকল্পনা তৈরি হলেও, তা ফাইলবন্দি হয়ে রয়েছে।

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৩৮
জমজমাট: দুয়ারে সরকারে লক্ষ্মীর ভান্ডার শিবিরে ভিড়। বুধবার, ময়নাগুড়িতে। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক

জমজমাট: দুয়ারে সরকারে লক্ষ্মীর ভান্ডার শিবিরে ভিড়। বুধবার, ময়নাগুড়িতে। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক

‘দুয়ারে সরকারের’ শিবিরে ঠাঁই হল না একশো দিনের কাজের প্রকল্পের। কেন্দ্রীয় এই প্রকল্পে গত দশ মাস ধরে রাজ্য সরকার কোনও বরাদ্দ পাচ্ছে না বলে অভিযোগ। তাই এই প্রকল্পকে এ বার রাজ্য সরকার জায়গা দিল না ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে। জলপাইগুড়ি জেলার একটি শিবিরেও একশো দিনের প্রকল্পের নথিবদ্ধকরণ হচ্ছে না। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, একশো দিনের কাজ জলপাইগুড়িতে পুরোপুরি বন্ধ। মজুরি না মেলায় বাসিন্দারাও কাজ চাইতে আসছেন না। সে কারণেই শিবিরে প্রকল্পের নথিভুক্তিকরণ বন্ধ রাখা হয়েছে।

জেলায় একশো দিনের কাজে বাকি রয়েছে একশো কোটি টাকারও বেশি। প্রশাসনের নির্দেশে, একশো দিনের প্রকল্পে চলতে থাকা সব কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন পরিকল্পনা তৈরি হলেও, তা ফাইলবন্দি হয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ‘দুয়ারে সরকারের’ শিবিরে একশো দিনের কাজকে রাখার যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন আধিকারিকেরা।

এত দিন এই শিবিরে একশো দিনের কাজের একটি স্টল থাকত। সেখানে কাজ চেয়ে নাম নথিভুক্ত করাতে পারতেন বাসিন্দারা। কারও যদি জব-কার্ড না থাকত, সে আবেদনও নেওয়া হত। তা ছাড়া, জব-কার্ড সংক্রান্ত আরও কাজ এই শিবিরে করে দেওয়া হত। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, “এখন টাকা নেই, প্রকল্পও বন্ধ। শুধু স্টল খুলে কী হবে! কাজ যখন দেওয়া যাবে না, আগ্রহীদের নাম লিখিয়েই বা কী হবে!”

জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, “একশো দিনের প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। সে কারণে দুয়ারে সরকারের একশো দিনের প্রকল্পকে রাখা হয়নি।” দীর্ঘদিন কাজ না হওয়ায় একশো দিনের প্রকল্পে জেলায় গড় কাজের দিন সংখ্যাও কমেছে। একশো দিনের কাজের জাতীয় পোর্টালে জলপাইগুড়ি জেলার গড় দিন সংখ্যা পনেরোর নীচে।

ডাকঘরের ব্যাঙ্কের স্টল রয়েছে জেলার সব শিবিরে। সেখানে গিয়ে বাসিন্দারা ‘জ়িরো ব্যালান্সে’ পোস্ট অফিসের ব্যাঙ্কের বই করাতে পারছেন। জলপাইগুড়ির কয়েকটি কেন্দ্রে দুয়ারের শিবিরে আধার কার্ডও করে দিচ্ছে ডাকবিভাগ। ভারতীয় ডাকঘরের নিজস্ব স্টল জলপাইগুড়ির সব দুয়ারে শিবিরেই রয়েছে। সেখানে ভিড় ভাল হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের আধার কার্ড করাতেই ভিড় বেশি।

Duare sarkar Mamata Banerjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy