Advertisement
১৮ মে ২০২৪

মেলায় যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় জখম ১৮

হলদিবাড়ির হুজুর সাহেবের মেলায় যাওয়ার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল শুক্রবার রাতে। দু’টি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১৮জন। শিলিগুড়ি কমিশনারেটের এনজেপি থানার বলরাম মোড়ে ঘটনাটি ঘটেছে।

আহতদের নিয়ে আসা হচ্ছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

আহতদের নিয়ে আসা হচ্ছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:১৮
Share: Save:

হলদিবাড়ির হুজুর সাহেবের মেলায় যাওয়ার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল শুক্রবার রাতে। দু’টি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১৮জন। শিলিগুড়ি কমিশনারেটের এনজেপি থানার বলরাম মোড়ে ঘটনাটি ঘটেছে।

আহতেরা সকলেই এনজেপি সাউথ কলোনি এলাকার বাসিন্দা। আহতদের সকলকেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ সাহুডাঙ্গি হয়ে জলপাইগুড়ির দিকে যাচ্ছিল যাত্রী বোঝাই ট্রাকটি। উল্টোদিক থেকে আসা আরেকটি খালি ট্রাকের সঙ্গে ওই ট্রাকটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান কোনও কোনও যাত্রী। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা বলেন, ‘‘ওই জায়গায় রাস্তাটি কিছুটা সরুও রয়েছে। কোনও কারণে দ্রুত গতিতে চলা ট্রাক দু’টি মুখোমুখি চলে আসে।’’

আহতদের মধ্যে মহম্মদ জাখর, মহম্মদ আশরফ জানান, সকলেই গল্পগুজব করতে করতে ট্রাকের পিছনে উঠে রওনা হয়েছিলেন। তাঁরা জানান, খালি ট্রাকটিই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের ট্রাকটিকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার পর এলাকার লোকজন এসে আহতদের উদ্ধার করেন।

খবর পেয়ে এনজেপি থানা থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছয়। পুলিশ আহতদের মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়।

অন্য ট্রাকটির চালকের পা গাড়ির একটি অংশে আটকে গিয়েছিল। তাঁকে ওই অবস্থা থেকে টেনে বার করেন এনজেপি ওসি দীপাঞ্জন দাস-সহ অন্য পুলিশ কর্মীরা। দুর্ঘটনায় আহতদের সাহায্যের জন্য স্থানীয় যুবকেরা হাসপাতালে গিয়েছেন বলে জানান এনজেপি এলাকার তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ রায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Accident Injured
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE