Advertisement
১৮ মে ২০২৪

পুরনো মামলায় ধৃত ৩ ব্যবসায়ী

Three businessmen accused arrested in the case took five yearsপাঁচ বছর আগের মামলায় তদন্তে নেমে অভিযুক্ত তিন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ি পুলিশের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৬ ০২:১৯
Share: Save:

পাঁচ বছর আগের মামলায় তদন্তে নেমে অভিযুক্ত তিন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ি পুলিশের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল লাগোয়া এলাকায় হোটেলে মধুচক্র চালানো ও কয়েক কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত শঙ্কর ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী তাপসী ভট্টাচার্যকে উত্তর চব্বিশ পরগণার গেদে থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জেরা করে হোটেলে মধুচক্র চালানোর মূল পাণ্ডা বলে অভিযোগে সৌরভ ঘোষকেও গ্রেফতার করা হয় শুক্রবার শিলিগুড়ির শক্তিগড় থেকে। তাকেও শনিবার শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়েছে। তাকেও সাতদিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। ধৃত সৌরভ অবশ্য শনিবার পর্যন্ত অভিযোগ স্বীকার করেনি।

শিলিগুড়ি পুলিশের এসিপি ডিডি তপনআলো মিত্র বলেন, ‘‘এদের জেরা করে প্রতারণায় এদের সাহায্যকারী আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হবে। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’’

পুলিশ জানিয়েছে, ২০১১ সালে শিলিগুড়ির সুশ্রুতনগরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল লাগোয়া একটি হোটেলে মধুচক্র চালানোর অভিযোগ দায়ের হয়। কয়েকজনকে দেহ ব্যবসার অভিযোগে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। ঘটনার পর থেকেই মালিক শঙ্কর ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী পলাতক ছিল। তাদের বিরুদ্ধে ওই সময় মাটিগাড়া থানায় ৪টি আলাদা মামলা দায়ের করে স্থানীয় কিছু লোক। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেও তাদের নাগাল পায়নি পুলিশ।

তবে তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, ভক্তিনগর থানাতেও তাদের নামে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মাধ্যমে বেশ কিছু লোককে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়। দেড় মাস আগে ওই মামলাটির তদন্তভার ডিডির হাতে তুলে দেওয়া হয়। তারপরেই তদন্তে নেমে কিছু সূত্র পায় পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Businessman Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE