যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে আগুনে পুড়িয়ে খুনের চেষ্টা অভিযোগ উঠল৷ যদিও ওই নেতার গায়ে অবশ্য আগুন লাগেনি৷ মঙ্গলবার গভীর রাতে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ির বেলাকোবাতে৷ স্থানীয় বাসিন্দা দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের তৎপরতায় ঘটনায় অভিযুক্ত তিন যুবক এলাকাতেই ধরা পড়ে যায়৷ পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলাকোবার জোলাপাড়ায় বাড়ি যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কৃষ্ণ সেনের৷ কৃষ্ণবাবুর অভিযোগ, মঙ্গলবার গভীর রাতে বাড়ির প্রায় সকলেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন৷ তাঁরও চোখে ঘুম ধরেছিল৷ এমনই সময় আচমকা বাড়ির বাইরে মোটর বাইকের আওয়াজ শুনতে পেরে জানলা খুলতেই দেখেন, তাঁর ঘরের একেবার পাশে থাকা খড়ের গাদায় আগুন দিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর চিৎকারে সঙ্গে সঙ্গে কাছেই থাকা দুই সিভিক ভলান্টিয়ার টিঙ্কু রায় ও দীপু রায় সহ পাড়া প্রতিবেশীরা সেখানে ছুটে যায়৷ তার পর ওই দুই সিভিক ভলান্টিয়ার মোটরবাইকটি ধাওয়া করে তিন জনকে ধরে ফেলেন৷
সিভিক ভলান্টিয়ার দীপু রায় বলেন, ‘‘আগুন লাগিয়ে বাইকে পালানোর সময় আমরাও একটি বাইকে ওই তিন দুষ্কৃতীকে ধাওয়া করি৷ নয়ারহাটের কাছে ওদের বাইকের তেল শেষ হয়ে যায়৷ তার পরই তারা ধরা পড়ে যায়৷ রাতেই তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷’’
কৃষ্ণবাবুর অভিযোগ, ‘‘ধরা পরার পর অভিযুক্তরা স্বীকার করেছেন, আমাকে খুন করার জন্যই তারা এই কাজ করেছেন৷ কিন্তু কেন তারা আমাকে খুন করতে চাইছেন, তা স্পষ্ট হচ্ছে না৷ আমি চাই পুলিশ তদন্ত করে সত্য উদ্ঘাটন করুক এবং এর পেছনে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের শাস্তি দিক৷’’
জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার পরই মহম্দ লতিফ, রাহুল হক ও আবু তালেক নামে তিন অভিযুক্ত আটক করা হয়৷ এ দিন অভিযোগ দায়ের করার পর তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ কেন তারা খুনের চেষ্টা করেছিল, তা জানার চেষ্টা হচ্ছিল।