Advertisement
E-Paper

ফের তিন জনের দেহে জেই

কোচবিহার জেলা হাসপাতালে ১২ জন, দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ৩২ জন, তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ৩০ জন জ্বরের রোগী ভর্তি রয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪৩
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

জ্বরে আক্রান্ত আরও তিনজনের সিএসএফ পরীক্ষায় জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের (জেই) জীবাণু মিলল কোচবিহারে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তরা সকলেই কোচবিহার জেলা সদর এমজেএন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়াও জেই-তে আক্রান্ত অসমের আরও এক বাসিন্দা, কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি আছেন। সবমিলিয়ে জাপানি এনসেফ্যালাইটিস নিয়ে জেলাজুড়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালেও জ্বরে আক্রান্তদের অনেকে ভর্তি রয়েছেন। কোচবিহার জেলা হাসপাতালে ১২ জন, দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ৩২ জন, তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ৩০ জন জ্বরের রোগী ভর্তি রয়েছেন। তুফানগঞ্জে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে ৭ জন শিশু ও ১৪ জন মহিলাও রয়েছেন।

পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন প্রশাসনের কর্তারাও। বৃহস্পতিবার রাতে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জেলাশাসক কৌশিক সাহা। ইতিমধ্যে মশাবাহিত রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা এড়াতে সচেতনতার বার্তা দিতে, কন্যাশ্রীদের নিয়ে প্রচারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আরও কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। জেলাশাসক বলেন,“পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।’’

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা সদর এমজেএন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জেই আক্রান্তদের মধ্যে একজনের বাড়ি কোচবিহার ১ব্লকের চিলকিরহাটে। কাজের সূত্রে তিনি গাজিয়াবাদে থাকতেন। গাজিয়াবাদ থেকেই জ্বর নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন তিনি। বাকি দু’জনের মধ্যে একজন তুফানগঞ্জের বালাভূতের বাসিন্দা, অন্যজনের বাড়ি মাথাভাঙা মহকুমায়। বৃহস্পতিবার রাতে, ওই তিনজনের সিএসএফ পরীক্ষার রিপোর্ট জেলা স্বাস্থ্য দফতরে পৌঁছয়। সকলের বয়স ৪০-৪৫ বছরের মধ্যে। কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মশা মারতে নিয়মিত স্প্রে-ও হচ্ছে। বাসিন্দাদের সচেতনতা আরও বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে।”

অগস্ট মাসে কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জে জেই-তে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তালিকায় শেষ সংযোজন দেওচড়াইয়ের বাসিন্দা আবির ভট্টাচার্য(৫৮)। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অগস্ট মাসে জেলায় জেই-তে আক্রান্ত হয়ে মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছরে ওই সংখ্যা ছিল ছ’জন। বছর ফুরোতে এখনও চার মাস বাকি। তাই মৃতের সংখ্যা বাড়া নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে প্রশাসনের অন্দরে। এর মধ্যে নতুন করে তিন জনের জেই পজিটিভ রিপোর্ট, জেলার স্বাস্থ্য ও প্রশাসনের কর্তাদের চিন্তা বাড়িয়েছে।

Coochbihar JE Unknown Fever
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy