Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

৮৩ বছর চাকরি করে অবসর জার্মান বুড়োর

জন্ম জার্মানিতে। কাজ শুরু করে সেই ১৯৩৪ সালে। তার পর ৮৩ বছর ধরে একটানা জলপাইগুড়ি শহরে জল জুগিয়েছে সে। বুধবার বিশ্ব জল দিবসের দিনই অবসর দেওয়া হল জলপাইগুড়ি পুরসভার সবচেয়ে পুরানো সেই পাম্পটিকে৷

• বৃদ্ধ: আর চলবে না এই পাম্প। ছবি: সন্দীপ পাল

• বৃদ্ধ: আর চলবে না এই পাম্প। ছবি: সন্দীপ পাল

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৭ ০২:২০
Share: Save:

জন্ম জার্মানিতে। কাজ শুরু করে সেই ১৯৩৪ সালে। তার পর ৮৩ বছর ধরে একটানা জলপাইগুড়ি শহরে জল জুগিয়েছে সে। বুধবার বিশ্ব জল দিবসের দিনই অবসর দেওয়া হল জলপাইগুড়ি পুরসভার সবচেয়ে পুরানো সেই পাম্পটিকে৷

তবে তাকে পুরোপুরি ছাড়ছে না পুরসভা। তাদের সংগ্রহেই রেখে দিচ্ছে সকলের প্রিয় ‘বুড়ো’কে।

পুরকর্তাদের দাবি, এটি জলপাইগুড়ি পুরসভার সব থেকে পুরানো পাম্প৷ শুধু এ বাংলা কেন, ও বাংলাতেও এত পুরনো পাম্প খুব কমই আছে। ১৯৩২ সালে জলপাইগুড়ি পুরসভা পানীয় জল সরবরাহ করা শুরু করে৷ তখন নলকূপ দিয়ে জল সরবরাহ করা হতো৷

এর দু’বছর পরে, ১৯৩৪ সালে পুরসভা জোসেফ অ্যান্ড কোম্পানি থেকে এই হাই লিফ্‌ট সেন্ট্রিফিগ্যাল পাম্পটি আনে৷ তার পর তিনটি জলাধার তৈরি হয়৷ সেই সময় থেকেই ওই পাম্পটির সাহায্যে শহরবাসীকে জল সরবরাহ শুরু হয়৷ প্রতিদিন দু’দফায় ৬৫ হাজার লিটার করে জল তুলত পাম্পটি।

কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীর বেজোত হতে শুরু করেছিল। আর পুরনো এই পাম্পের কলকব্জাও সহজে মিলছিল না ইদানীং। জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল (জল) সৈকত চট্টোপাধ্যায় জানান, পাম্পটি এখনও ভালই কাজ করছিল। কিন্তু এখন খারাপ হয়ে গেলে সারানো মুশকিল হতো।

পাম্পটিকে নিজেদের আত্মীয়ের মতোই ভালবাসতেন পুরসভার কর্মীরা। এ দিনও এসে যন্ত্রটার গায়ে হাত বুলিয়ে দিয়ে যাচ্ছিলেন কেউ কেউ। তাঁদের কারও কারও কথায়, পাম্পটা তো ছিল অযান্ত্রিক-এর গাড়িটার মতো! পুরনো সঙ্গীকে এর পরে একটি সংগ্রহশালা গড়ে সেখানে রেখে দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

World Water Day
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE