বরিশাল হোক বা কলকাতা—রসিকজনের মতে কাঁচা আমের সঙ্গে কাসুন্দি হল রাজযোটক। নতুন বাংলা বছরে তার সঙ্গে মিশছে ছানা। আম-কাসুন্দি ছানায় মেখে বেঁধে দেওয়া হবে কুমড়ো পাতায়। মাটিগাড়ার উত্তরায়ণে এক রেস্তোরাঁর রাঁধুনি এই পদের নাম রেখেছেন পোটলি। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই এই মেনু চেখে দেখার সুযোগ রয়েছে। পোস্ত বড়া, ছোলার ডাল, আড়ের বেগম বাহার, পাঁঠার কষা— শিলিগুড়ির বিধান রোডের আরেকটি হোটেলে এই সব পদই পরিবেশন করা হবে পোড়ামাটির পাত্রে। রেস্তোরাঁর দায়িত্বে থাকা লিপিকা ঘোষের কথায়, ‘‘বাঙালি পদের পরিবেশনাতেও তো বাঙালিয়ানা চাই।’’ বাঙালিয়ানা আনতে জলপাইগুড়ির কদমতলার একটি অভিজাত হোটেলের পানশালায় নববর্ষের দুপুরে আড়াই ঘণ্টা রবীন্দ্রসঙ্গীতের ‘লাইভ পারফরমেন্সের’ আয়োজনও হয়েছে।
মাটির থালায় খাওয়ার পাট বাঙালির অনেক দিন আগেই ঘুচে গিয়েছে। সে কথা ভেবেই শিলিগুড়ির বিধানরোডের হোটেলে মাটি-থালি পরিকল্পনা। সব ধরনের আয় বিশিষ্টরাই এই ‘থালি’ অর্ডার করতে পারেন, জানাচ্ছেন কর্ণধার বাবলা ঘোষ। রেস্তোরাঁর দায়িত্বে থাকা লিপিকাদেবীর দাবি, শুধুমাত্র মুরগিরই ৫ রকমের পদ থাকছে। এ ছাড়াও ইলিশ পাতুড়ি, সর্ষে ইলিশ, কষা মাংস, রুইয়ের কালিয়া। পোস্ত বড়া, ছোলার ডাল, লুচি, সুক্তো, দই। সেই সঙ্গে চিতল, আড়ের বেগম বাহার, ডাব চিংড়ি, শেষ পাতে আমের চাটনি।
উত্তরায়ণ চত্বরের রেস্তোরাঁর শেফ বরুণ দাশগুপ্তের হেঁসেলে পদের আরও সম্ভার। শিম পালং পাতুরি, গন্ধরাজ ভেটকি, কাঁচা আম ভেন্ডি, চিংড়ির কাটলেট, লঙ্কা ধনিয়া মুর্গের মতো অভিনব মেনু রয়েছে। সঙ্গে ছোলার ডাল নারকোল, পোলাও বাসন্তী, চিকেন ডাকবাংলো, গোলবাড়ির মাংসও আছে। শেষ পাতে চৈত্রেও নলেন গুড় খুঁজে এনেছেন কর্তৃপক্ষ। জলপাইগুড়ির কদমতলার অভিজাত হোটেলের পানশালায় রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং রেস্তোরাঁয় আমপোড়ার শরবতের আয়োজন রয়েছে। ম্যানেজার অরূপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ বার আমরা বাঙালিকে বোরোলির টক খাওয়াবো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy