সেনাছাউনির মধ্যে হঠাৎই এক যুবককে এ দিক, ও দিক ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ জাগে! কী কারণে তিনি সেনাছাউনিতে ঢুকলেন, তার কোনও সদুত্তর না মেলায় তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেন সেনাকর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মাটিগাড়া খাপরাইল এলাকার ৩৩ কপসের সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে।
শুক্রবার বিকেলে ওই ক্যাম্পে অপরিচিত এক যুবককে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন সেনাকর্মীরা। সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। কিন্তু সেনাকর্মীদের কোনও প্রশ্নেরই সদুত্তর মেলেনি। তার পরই মাটিগড়া পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কী ভাবে ওই ব্যক্তি সেনা ছাউনিতে ঢুকলেন, কার অনুমতি বা কেনইবা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন— তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তি নাম আশিয়া খান। তিনি অসমের গুয়াহাটির বাসিন্দা। তবে বেশ কয়েক বছর হল থাকতেন মাটিগাড়ায়। সেই এলাকাতেই সুদের ব্যবসা করতেন আশিয়া। কিন্তু তিনি কেন হঠাৎ সেনাছাউনিতে ঢুকলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শনিবার ধৃতকে শিলিগুড়ির আদালতে হাজির করানো হয়।
আরও পড়ুন:
সেনাছাউনিতে অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মাটিগাড়ায়। অভিযুক্তের সঙ্গে অন্য কোনও চক্রের যোগ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, ‘‘অসমের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি এখানে বাড়িভাড়া নিয়ে থাকতেন। তবে সেনাছাউনিতে কেন ঢুকেছিল, সে ব্যাপারে প্রাথমিক কোনও তথ্য মেলেনি। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করছে।’’ পহেলগাঁও কাণ্ডের পর থেকেই ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাতে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। একই সঙ্গে চলছে পাকিস্তানিদের খোঁজ। পহেলগাঁওয়ের হত্যালীলার পর ভারত সরকার নির্দেশ দেয়, পাকিস্তানিদের খুঁজে বার করে তাঁদের দেশে পাঠানোর। তার পরেই পুলিশি তৎপরতাও বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনুসন্ধান চলছে। সেই আবহে আশিয়ার সেনাছাউনিতে নিরাপত্তার বেড়াজাল ভেঙে ঢুকে পড়ার ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই মনে করছেন অনেকে।