E-Paper

প্রহারে ভাঙল ছাত্রের হাত, ধৃত শিক্ষক

দশ বছরের ওই কিশোর গত দু’বছর ধরে ওই আবাসিক স্কুলে পড়তো। অভিযোগ, দিন কয়েক আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা স্কুলটির মালিকের পাঁচশো টাকা চুরি যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৫ ০৮:১৪
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

প্রধান শিক্ষকের প্যান্টের পকেট থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল পাঁচশো টাকা। মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের একটি আবাসিক স্কুলের ওই শিক্ষকের সন্দেহ গিয়ে পড়ে হস্টেলের আবাসিক তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রের উপরে। অভিযোগ, সেই রাগে ছাত্রটিকে টানা তিন দিন ধরে লাঠি, লোহার শিক দিয়ে মারধর করে ওই শিক্ষক। ছুটির পড়লে হস্টেল থেকে ছেলেকে নিতে এসে বাবা দেখেন, কিশোরের হাতে, পায়ে, কোমরে গুরুতর আঘাতের দাগ। জায়গায়-জায়গায় জমাট বেঁধে গিয়েছে রক্ত। ভেঙেছে হাত। এমনকি সোজা হয়ে উঠে দাঁড়াতে পারছে না ছাত্রটি। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদারিহাট থানায় অভিযোগ করে আহত পড়ুয়ার পরিবার। সেই ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে রবিবার গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, দশ বছরের ওই কিশোর গত দু’বছর ধরে ওই আবাসিক স্কুলে পড়তো। অভিযোগ, দিন কয়েক আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা স্কুলটির মালিকের পাঁচশো টাকা চুরি যায়। অন্য ছাত্রদের থেকে খবর নিয়ে ওই শিক্ষকের সন্দেহ গিয়ে পড়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রটির উপরে। অভিযোগ, গত ২৪ জুন থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত দফায়-দফায় লাঠি, লোহার শিক দিয়ে মারধর করা হয় ওই কিশোরক। ছাত্রের হাতে, পায়ে ও কোমরে গুরুতর আঘাত লাগে। ছাত্রের বাবা বলেছেন, ‘‘গত শুক্রবার ছেলের স্কুলে ছুটি পড়েছিল। সেই সময়ে ওকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে গেলে ও মারধরের কথা জানায়। ওর শরীরের একাধিক জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। হাতের হাড়ও ভেঙে গিয়েছে। আঘাত এটতাই গুরুতর যে উঠে দাঁড়াতেও পারছে না ছেলে।’’ এর পরেই মাদারিহাট থানায় অভিযোগ করে ছাত্রের পরিবার।

এ দিকে, ছাত্রকে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক। সে বলে, ‘‘পাঁচশো টাকা চুরি গিয়েছে বলে ওই ছেলেটিকে মারধর করেছিলাম। ওর সহপাঠীরাই আমায় জানিয়েছিল, যে ও চুরি করেছে। কিন্তু ও যে এতটা গুরুতর আহত হবে, সেটা বুঝতে পারিননি।’’ জয়গাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মানবেন্দ্র দাস জানান, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার তদন্ত চলছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Madarihat

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy