রান্নাঘরে লুকিয়েছিল চিতাবাঘ। তা দেখে আর্ত চিৎকার করে ঘর থেকে পালান গৃহকর্ত্রী। রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে চিতাবাঘ গিয়ে বসে সেই বাড়িরই অন্য় একটি ঘরে। খবর ছড়াতেই ভিড় জমে। শুরু হয় হট্টগোল। পৌঁছন বনকর্মীরাও।কিছুক্ষণের কসরতে তাঁদের জালে ধরা পড়ে সেই চিতাবাঘটি। বুধবার দুপুরে শিলিগুড়ির বাগডোগরা এলাকার বীরসিংহ জোতের ঘটনা।
বন দফতর সূত্রে খবর, বাগডোগরার পাশে সন্ন্যাসীথান চা বাগানের কাছেই একটি বাড়িতে ঢুকেছিল চিতাবাঘটি। বনকর্মীরা প্রথমে জাল দিয়ে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেন। ধীরে ধীরে জালের ঘেরাটোপ কমিয়ে আনা হয়। কিন্তু চিতাবাঘটি এক জায়গাতেই বসেছিল। সন্দেহ হয় বনকর্মীদের। তাঁরা দেখেন, চিতাবাঘটি প্রচণ্ড অসুস্থ। লড়াই বা খাবারের অভাবে চিতাবাঘটির অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বলে অনুমান বনকর্মীদের। জালে ধরে সেটিকে চিকিৎসার জন্য টিপুখোলা রেঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। বেঙ্গল সাফারি থেকে এক চিকিৎসক সেখানে গিয়ে চিতাবাঘটির চিকিৎসা শুরু করেন।
বন দফতরের কার্শিয়াং ডিভিশনের এডিএফও রাহুলদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। সে জন্য জঙ্গলে বনকর্মীদের নজরদারি ছিল বেশি। চিতাবাঘের খবর পেয়েই তড়িঘড়ি সেটিকে জালে ধরে ফেলা হয়।’’
সন্ন্যাসীথান চা বাগান এলাকার আশপাশে কয়েক জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীও রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁরা বনকর্মীদের নজরদারি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন। বাগডোগরা রেঞ্জের তরফে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)