E-Paper

কন্যাশ্রীর টাকা হাতানোয় শিক্ষক অভিযুক্ত মালদহে

দু’মাস আগে মালদহে ১৯৩ জন ছাত্রছাত্রীর ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে যাওয়ার ঘটনা সামনে আসে। সে ঘটনার রেশ কাটার আগেই উঠেছে কন্যাশ্রীর টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ০৫:৩৬
ছাত্রীদের সঙ্গে মানিকচকের এনায়েতপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

ছাত্রীদের সঙ্গে মানিকচকের এনায়েতপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। —নিজস্ব চিত্র।

ট্যাব-দুর্নীতির পরে, এ বার ‘উধাও’ কন্যাশ্রীর টাকা। অভিযোগ, তিন বছর আগে আবেদন করলেও প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকা পায়নি মালদহের একটি স্কুলের একাধিক ছাত্রী। শনিবার ছাত্রীদের নিয়ে স্কুলেরই এক সহশিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেন বর্তমান প্রধান শিক্ষক। মানিকচকের এনায়েতপুর হাই স্কুলের ঘটনা। জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

দু’মাস আগে মালদহে ১৯৩ জন ছাত্রছাত্রীর ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে যাওয়ার ঘটনা সামনে আসে। সে ঘটনার রেশ কাটার আগেই উঠেছে কন্যাশ্রীর টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে কন্যাশ্রী প্রকল্পে ওই স্কুলের ৪২ জন ছাত্রীর ‘কে ২’ ফর্ম পূরণ করা হয়। আঠারো বছর পূর্ণ হলে, এই প্রকল্পে ছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে ২৫ হাজার টাকা পৌঁছনোর কথা। তবে স্কুলের দাবি, ১২ জন ছাত্রী সম্প্রতি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানায়, প্রকল্পের টাকা মেলেনি। সে ব্যাপারে স্কুলের তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক (টিচার-ইন-চার্জ) সুনন্দ মজুমদারের নামে অভিযোগ করেছেন বর্তমান প্রধান শিক্ষক বদরুজ্জামান।

স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ছাত্রীরা ভিন্ন ভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর স্কুলের জমা দিলেও, স্কুলের ৪২ জন ছাত্রীর অ্যাকাউন্ট নম্বর হিসাবে একই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে আলাদা অ্যাকাউন্ট দেখানো হয়েছে। বদরুজ্জামানের অভিযোগ, ‘‘আপাতত দেখা গিয়েছে, ১২ জন ছাত্রীর টাকা ভিন্ন ভিন্ন অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে। তখনকার দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক তথা বর্তমানে সহকারী শিক্ষক সুনন্দ মজুমদার এ ঘটনায় জড়িত।’’ অভিযুক্ত শিক্ষক ফোন ধরেননি। জবাব মেলেনি মোবাইল-বার্তার।

কন্যাশ্রী প্রকল্পে নথি যাচাই করে কন্যাশ্রী পোর্টালে নাম তোলার দায়িত্ব স্কুলের। তথ্য ঠিক থাকলে, ট্রেজারির মাধ্যমে সে টাকা সংশ্লিষ্ট প্রাপকের অ্যাকাউন্টে ঢোকার কথা। সে ক্ষেত্রে কী ভাবে এই কারচুপি হয়েছে, তা ব্যাঙ্ক এবং শিক্ষা দফতরের নজর এড়িয়েছে কি না, প্রশ্ন উঠেছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বাণীব্রত দাস বলেন, ‘‘খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kanyashree Malda

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy