Advertisement
E-Paper

হুইলচেয়ারে বসেই ভোট দেওয়ার বার্তা

বাবা আরাফত আলিই ‘বিশেষভাবে সক্ষম’ ছেলেকে নিয়ে মাঠ ঘোরান। ওই কর্মসূচিতে শামিল হতে পেরে খুশি আসিফ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২০ ০২:৫৩
বাধা উজিয়ে: হুইলচেয়ারে আসিফ ইকবাল। কোচবিহারে। নিজস্ব চিত্র

বাধা উজিয়ে: হুইলচেয়ারে আসিফ ইকবাল। কোচবিহারে। নিজস্ব চিত্র

হুইল চেয়ারে বসেই ভোটদান নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে মাঠ পরিক্রমা করলেন কোচবিহারের এক যুবক, আসিফ ইকবাল। রবিবার কোচবিহার রাজবাড়ি স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক উদ্যোগে প্রজাতন্ত্র দিবস উদ্্যাপন-অনুষ্ঠান হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অভিবাদন গ্রহণ করেন জেলাশাসক পবন কাদিয়ান। ওই অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসেবে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের ট্যাবলো প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই জেলা নির্বাচন দফতরের ট্যাবলোর সঙ্গেই ছিলেন আসিফ। হুইল চেয়ারে বসে হাতে সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোটদানের ব্যাপারে উৎসাহ বাড়াতে শামিল হন তিনি।

বাবা আরাফত আলিই ‘বিশেষভাবে সক্ষম’ ছেলেকে নিয়ে মাঠ ঘোরান। ওই কর্মসূচিতে শামিল হতে পেরে খুশি আসিফ। তিনি বলেন, “প্রায় তিন বছর আগে ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে। কিন্তু এ ভাবে নিজের ভোট নিজে দেওয়া নিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের মতো অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সুযোগ আগে পাইনি। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেতেই ঠিক করি, আমিও ওই মাঠে যাবই।”

ছেলের ‘খুশি’র কথা ভেবে রাজি হন আসিফের বাবা আরাফত আলিও। তিনি বলেন, “নানা অনুষ্ঠানে ছেলের ডাক আসে। আমি ওর খুশির কথা ভেবে সাধ্যমতো সব অনুষ্ঠানে নিয়ে যায়। এ বারেও তাই সময়মতো ওকে নিয়ে রাজবাড়ি স্টেডিয়ামে পৌঁছে গিয়েছিলাম।”

প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলা নির্বাচন দফতরের উদ্যোগে রাজবাড়ি স্টেডিয়ামে ট্যাবলো করা হয়। ওই ট্যাবলোর পিছনেই ভোটদাতাদের সচিত্র পরিচয়পত্র হাতে বেশ কয়েক জন হাঁটছিলেন। তাঁদের পুরোভাগেই ছিলেন হুইল চেয়ারে বসা আসিফ। নিজের ভোট নিজে দেওয়া নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারের পাশাপাশি জোর দেওয়া হয় বিশেষ ভাবে সক্ষমদের ভোটদানের অধিকার নিয়েও। আসিফ বলেন, “আমি নিজে আগেও ভোট দিয়েছি। আমার মতো অন্যরাও সবাই সেই অধিকার প্রয়োগ করলে আরও ভাল লাগবে।”

প্রশাসন সূত্রের খবর, কোচবিহারে সাড়ে ২২ লক্ষেরও বেশি ভোটার রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বিশেষ ভাবে সক্ষমেরাও রয়েছেন। সকলের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন বুথে বিশেষ ভাবে সক্ষম ভোটারদের সংখ্যা খতিয়ে দেখে র‌্যাম্পের মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ঢেলে সাজা হচ্ছে।

সম্প্রতি জেলাশাসক বিশেষভাবে সক্ষমদের বাড়িতে বসে প্রয়োজনীয় শংসাপত্র পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারেও উদ্যোগী হয়েছেন। এলাকা ভিত্তিক শিবির করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। এ বারের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের প্যারেডে নজর কাড়েন কোচবিহার সরকারি দৃষ্টিহীন বিদ্যালয়ের অভিজিৎ বর্মণ, রিতুরাজ খালকোর মতো ছাত্ররাও। তাদের সমবেত গানও উপস্থিত দর্শকদের মন জয় করে নেয়।

Republic Day Wheel Chair Voting
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy