প্রতীকী ছবি।
দলে তিনি ফিরেছেন প্রায় তিন মাস। কিন্তু অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত দলের কোনও কর্মসূচিতেই ডাক পাননি বিপ্লব মিত্র। দক্ষিণ দিনাজপুরে তার জেরে সংগঠনের 'ক্ষতি' হওয়ার আশঙ্কায় 'ক্ষোভপ্রকাশ’ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে)।
মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে সাংগঠনিক সভায় জেলার নেতাদের তাই কড়া ভাষায় অভিষেক নির্দেশ দিয়েছেন, ‘‘এখন থেকে প্রতিটি কর্মসূচিতে বিপ্লব মিত্রকে ডাকতে হবে। তাঁকে সব কর্মসূচিতে শামিল করুন।’’ দলীয় সূত্রে খবর, জেলা তৃণমূলের কোন্দল নিয়ে রুষ্ট পিকে জেলা নেতৃত্বকে দ্রুত 'দ্বন্দ্ব' মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এ দিনের ওই বৈঠকে জেলা সভাপতি গৌতম দাস, মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা ও জেলায় দলের চেয়ারম্যান শঙ্কর চক্রবর্তীর সঙ্গে ছিলেন বিপ্লব মিত্রও। দলের অন্দরমহলের খবর, তাঁদের অভিষেক বলেন, "ঝগড়া যা আছে মিটিয়ে ফেলুন। আর এখন থেকে সব কর্মসূচিতেই বিপ্লব মিত্রকে ডাকতে হবে।" বাচ্চু বলেন, "একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব কর্মসূচিতেই বিপ্লব মিত্রকে ডাকতে বলা হয়েছে।" জেলা সভাপতি গৌতমও বলেন, "বিপ্লব মিত্র ১৯-২০ বছর ধরে তৃণমূল করেছেন। তাঁর গুরুত্ব অনেক। ওঁকে সব কর্মসূচিতে ডাকতে বলা হয়েছে।" কিন্তু বিপ্লবকে দলীয় কর্মসূচিতে শামিল করার সময়ে তাঁর দায়িত্ব বা কোন পদে রয়েছেন, সেই উল্লেখ কী ভাবে করবেন? সেই প্রশ্ন নিয়েও এ দিন আলোচনা হয়েছে বলে খবর। দীর্ঘদিন ধরে জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলানোর পরে কি সাধারণ কর্মী হিসেব থাকবেন? বিপ্লবও সে প্রশ্ন তোলেন। পিকে এবং অভিষেক তাঁকে পদে আনা হবে বলে আশ্বাস দেন। সূত্রের খবর, বিপ্লবকে উত্তরবঙ্গের কোনও পদে ফেরানো হতে পারে। বিপ্লবের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy