Advertisement
০২ মে ২০২৪
Electrocuted to death

আচমকা লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু, মালদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু এক শ্রমিকের, আহত এক

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিদ্যুতের লাইন মেরামতির সময় বেশির ভাগ সময়েই নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করা হয় না। প্রাণ দিয়ে যার মাসুল গোনেন পেটের দায়ে কাজ করতে আসা গরিব মানুষ।

representational image

— প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৫৭
Share: Save:

ইলেক্ট্রিকের খুঁটিতে উঠে কাজ করছিলেন কয়েক জন। আচমকাই বিদ্যুৎ চালু হয়ে যায়। তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও এক কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের কালিয়াচক থানার মহেশপুরের ৫২ বিঘা এলাকায়। খুঁটিতে কাজ চলাকালীন কী করে বিদ্যুৎ চালু হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

৫২ বিঘা এলাকায় বিদ্যুতের তার মেরামত করতে খুঁটিতে উঠেছিলেন কয়েক জন। মেরামতির কাজ চলাকালীনই আচমকা তারে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন দুই অস্থায়ী বিদ্যুৎকর্মী। মৃত্যু হয় দীপঙ্কর মণ্ডল নামে এক কর্মীর। আনন্দ মণ্ডল নামে অপর কর্মীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিদ্যুৎ দফতরের এক অস্থায়ী কর্মী অরুণ সরকার বলেন, ‘‘শাটডাউন করে কাজ করছিলাম। দীপঙ্কর আর আনন্দ খুঁটির উপরে ছিল। আধঘণ্টা মতো কাজও করে। কিন্তু হঠাৎ লাইন চালু হয়ে যাওয়ায় ওঁরা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। আমরা গরিব মানুষ। পেট চালানোর জন্য কাজ করি। আমরা চাই, এ রকম যাতে কোনও মায়ের কোল আর খালি না হয়।’’

বিদ্যুতের খুঁটিতে যখন কাজ চলছিল তখন কী করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হল? এর দায় কার? যে অস্থায়ী কর্মীরা খুঁটির উপর চড়ে কাজ করেন, তাঁদের যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা কি করা হয়েছিল? স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিদ্যুতের লাইন মেরামতির সময় বেশির ভাগ সময়েই নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করা হয় না। প্রাণ দিয়ে যার মাসুল গোনেন পেটের দায়ে কাজ করতে আসা গরিব মানুষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

police Electrocuted Death Hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE