বছর ঘুরতেই অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিস সিনড্রোম (এইএস) এবং জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা সত্তর ছুঁতে চলেছে। ধীরে হলেও এ বছরও যে এইএস, জেই উত্তরবঙ্গে থাবা বসিয়েছে তা স্পষ্ট। গত বছর বয়স্কদের টিকাকরণের পরও এ বছর মৃত্যুর সংখ্যা এত বেশি হওয়ায় চিকিৎসকদের অনেকেই উদ্বিগ্ন। পর্যাপ্ত জেই টিকাকরণ হয়নি বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার নির্মল বেরা বলেন, ‘‘আমরা সমস্ত তথ্য স্বাস্থ্য দফতরে পাঠিয়েছি। যা বলার তাঁরাই বলবেন।’’ দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত বিশ্বাস বলেন, ‘‘জেই টিকাকরণ করা হচ্ছে। তবে মৃতদের মধ্যে এইএস-ই বেশি।’’ চিকিৎসকদের একাংশ জানান, আপাতত, পরীক্ষায় যাঁদের জেই মিলছে না, তাঁরা এইএস আক্রান্ত বলা হচ্ছে। তবে তাঁদের একাংশের জেই-ও হতেও পারে। উত্তরবঙ্গে মূলত জেই-র প্রকোপটাই বেশি। সাত জেলায় সমস্ত বাসিন্দাদের তাই টিকাকরণ জরুরি।
গত পাঁচ বছরে জেই, এইএসে মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে পাঁচশো ছাড়িয়েছে। জেই, এইএসের থাবায় প্রতি বছর এত মৃত্যু ঠেকাতে ব্যাপক হারে টিকাকরণ, আরও সচেতনতা প্রচার, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দাবি উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রেই বসতি এলাকায় শুয়োর পালনও বন্ধ হয়নি।
স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রেই জানা গিয়েছে, এ বছর ২০ নভেম্বর পর্যন্ত জেই, এইএসে ৬৬ জন মারা গিয়েছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। তাঁদের ২০ জন জেই। গত জুলাই থেকে অক্টোবর চার মাসেই মারা গিয়েছেন ৪৩ জন। নভেম্বরেও অন্তত ৩ জন। জেলা হাসপাতাল বা নার্সিংহোমগুলির কোনও পরিসংখ্যান নেই। গত বছর থেকে প্রত্যন্ত এলাকাগুলি থেকে সমস্ত রোগীদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে রেফার না করে স্থানীয় জেলা বা ব্লক হাসপাতালেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে জোর দেওয়া হয়। সে কারণে জেলা হাসপাতালগুলিতেও জেই, এইএসে মৃত্যুর ঘটনা রয়েছে। তা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মৃতদের মধ্যে এ বছর দার্জিলিং জেলায় মৃত্যুর সংখ্যাই বেশি, অন্তত ২০ জন। বাগডোগরা, প্রধাননগর এবং পাহাড়ে কার্শিয়াঙে ৩ জন করে মারা গিয়েছেন। জলপাইগুড়িতে মৃত অন্তত ১৫ জন। কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে ৯ এবং ৮ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy