ছেলে ও মেয়েকে কীটনাশক খাইয়ে আত্মঘাতী হলেন মা। প্রতীকী ছবি।
এক সঙ্গে থাকা হয় না। কিন্তু প্রায়ই দুই নাতি-নাতনিকে দেখতে আসেন ঠাকুমা। সোমবার দুপুরেও এক বার ঢুঁ মেরে যেতেই এসেছিলেন তিনি। দরজা খুলে বৃদ্ধা যা দেখলেন, তাতে তাঁর চক্ষু চড়কগাছ! বিছানায় শুয়ে নাতি-নাতনি। জ্ঞানহীন। আর গলায় ফাঁস লাগিয়ে উপর থেকে ঝুলছেন ওদের মা।
কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা মহকুমার খেতি-ফুলবাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ছেলে ও মেয়েকে কীটনাশক খাইয়ে আত্মঘাতী হলেন মা। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মা আরতি মণ্ডল (২২), তাঁর মেয়ে প্রিয়া মণ্ডল (২) ও ছেলে কৌশিক মণ্ডল (৪)-এর।
পরিবার সূত্রে খবর, কৌশিক আর প্রিয়াকে নিয়ে থাকতেন আরতি। স্বামী রণজিৎ মণ্ডল থাকেন ভিন্রাজ্যে। বউমা ও নাতি-নাতনিকে এসে দেখে যেতেন ঠাকুমা নমিতাবালা বিশ্বাস। সোমবার তিনিই এসে দেখেন, বিছানায় অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছে নাতি-নাতনি। আর গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উপর থেকে ঝুলছেন আরতি। এই দেখে চিৎকার চেঁচামেচি করে প্রতিবেশীদের ডাকেন।
নমিতাবালা বলেন, ‘‘দুপুরে এসে দেখি এই কাণ্ড! ওদের বাড়িতে কী ঘটেছে আমি সত্যিই জানি না। শুনেছিলাম স্বামীর সঙ্গে সকালে ফোনে কথা হয়েছে। কিন্তু কী কথা হয়েছে জানি না। আমি বুঝতে পারছি না, কেন এ রকম করল ওরা।’’
প্রতিবেশীরাই আরতি ও তাঁর ছেলেমেয়েকে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আরতি ও প্রিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কৌশিককে স্থানান্তরিত করা হয় জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সেখানেই মৃত্যু হয় কৌশিকের।
হাসপাতাল থেকেই ধূপগু়ড়ি থানায় জানানো হয় গোটা বিষয়টি। পুলিশ সূত্রে খবর, রণজিতের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হচ্ছে। পাশাপাশিই পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেন ছেলেমেয়েকে কীটনাশক খাইয়ে মা আত্মঘাতী হলেন, তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy