ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে শুরু হয়েছে পণ্যবাহী যান চলাচল। —নিজস্ব চিত্র।
আবার শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে শুরু হল ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি এবং রফতানি। গত কয়েক দিনে বিশাল আর্থিক ক্ষতির পর আপাতত স্বস্তিতে ব্যবসায়ী মহল। তাদের দাবি, শেষ তিন দিনে অন্তত পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে বুধবার থেকে দুই দেশের মধ্যে পণ্যবাহী যান চলাচল শুরু হওয়ায় হাঁফ ছাড়লেন তাঁরা।
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের জন্য উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গত ৪ অগস্ট থেকে সীমান্ত দিয়ে আমদানি-রফতানি প্রক্রিয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। সীমান্তের কাছেই সারি সারি লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন পণ্যবোঝাই লরি। টানা তিন দিন সীমান্তে ওই ভাবে থাকার পরে বুধবার সকাল থেকে আবার সীমান্ত পার করে শুরু হয়েছে বাণিজ্যিক আদানপ্রদান। লরিচালকেরা বলছেন, ‘‘আবার যান চলাচলে অনুমতি না পেলে বিশাল আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়তাম আমরা। গত তিন দিনে অনেক ক্ষতি হয়েছে। তার পরিমাণ আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা ছিল।’’ তবে বুধবার সকালে শুধুমাত্র ভুটানের গাড়িগুলিকে বাংলাদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। অন্য দিকে, আওয়ামী লিগের দরকারে সীমান্তে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আমদানি-রফতানির এক রকম নিয়ম ছিল। কিন্তু, নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর তার কোনও পরিবর্তন হবে কি না, তা নিয়েও চিন্তায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
‘ফুলবাড়ি ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক শুভঙ্কর নস্কর বলেন, ‘‘গত কয়েক দিনে প্রায় চার থেকে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে আমাদের। দু’দেশের কথাবার্তার পর আজ (বুধবার) থেকে পণ্যবাহী ট্রাকের যাতায়াত শুরু হল। বাংলাদেশে নতুন সরকার গঠন হওয়ার পরে নিয়মের কোনও পরিবর্তন হবে কি না তা নিয়ে আমরা খানিকটা চিন্তায় আছি।’’
অন্য দিকে, পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে আমদানি-রফতানির এখনও কোনও সম্ভাবনা নেই। বিস্তর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ থেকে আসা একের পর এক ভারতীয় ট্রাক পণ্যবোঝাই অবস্থাতেই ঠায় দাঁড়িয়ে। সকাল থেকে ঘোজাডাঙা স্থলবন্দর দিয়ে অবশ্য যাতায়াত শুরু করেছে। আমদানি রফতানিও স্বাভাবিক রয়েছে ভারতের অন্যতম এই স্থলবন্দরে। বাংলাদেশে থাকে আশা আব্দুল গনি নামে এক গাড়িচালক বলেন, ‘‘আগের থেকে বাংলাদেশ এখন অনেকটাই শান্ত। আগে যে আতঙ্কের পরিবেশ ছিল, সেটা এই মুহূর্তে নেই। অনেকটাই শান্ত হয়েছে পরিস্থিতি। আগের থেকে এখন অনেকটা নিরাপদে রয়েছেন বাংলাদেশের মানুষ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy