Advertisement
E-Paper

ফের বধূর শ্লীলতাহানি মাথাভাঙায়, ক্ষুব্ধ শহর

বাস থেকে তরুণী ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল কোচবিহার জেলায়। সোমবার রাতে মাথাভাঙায় অনুষ্ঠান দেখে ফেরার পথে পড়শি যুবক এক বধূর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৩৫

বাস থেকে তরুণী ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল কোচবিহার জেলায়। সোমবার রাতে মাথাভাঙায় অনুষ্ঠান দেখে ফেরার পথে পড়শি যুবক এক বধূর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।’’

ওই বধূর স্বামী জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি লাগোয়া একটি জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল। কাকিমার সঙ্গে ওই অনুষ্ঠান দেখতে যান মাথাভাঙার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই বধূ। সেখানে নাচের অনুষ্ঠানে বিচারকের ভুমিকাতেও ছিলেন তিনি। রাত ৯টা নাগাদ অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নেন তাঁরা। সেই সময় থেকেই প্রতিবেশী ওই যুবক বধূর পিছু নেয়। কিছুদূর গিয়ে একটি দোকানের সামনে দাঁড়ান ওই বধূ ও তাঁর কাকিমা। সেখানে তাঁকে উদ্দেশ্য করে পড়শি ওই যুবক নানা কটূক্তি ও অঙ্গভঙ্গি করে বলে অভিযোগ।

বিপদ বুঝতে পেরে পাশেই তাঁর কাকিমার বাড়িতে চলে যান তিনি। সেখানে ঢুকেও ওই যুবক বধূর উপরে চড়াও হয়ে শ্লীলতাহানি করে বলে দাবি করেছেন তিনি। বাধা দিতে গেলে কাকিমা ও কাকুকে ওই যুবক মারধর করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় ওই বধূর স্বামী ও প্রতিবেশী কয়েকজন অভিযুক্তকে আটকানোর চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি করে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে না পারায় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, এর পরে মহিলাদের বাড়ি থেকে বেরনো আতঙ্কের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই যুবক এলাকার এক ব্যবসায়ীর ছেলে। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, অভিযুক্ত সুদের কারবারের সঙ্গে যুক্ত। মদ্যপ অবস্থায় এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাকে। মাথাভাঙার বাসিন্দাদের কয়েকজন বলেন, “ওই অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করা উচিত। না হলে এলাকার মহিলারা আতঙ্কে থাকবেন। দুষ্কৃতীরাও আর কাউকে পরোয়া করবে না।” অভিযুক্তের পরিবারের পক্ষ থেকে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। অভিযুক্তের বাবা বলেন, “শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঠিক নয়। হামলার ঘটনাও ঘটেনি। শুনেছি ছেলে মদ্যপ অবস্থায় ছিল। সেই সময় ওই বধূর দোকানের সামনে গিয়ে কিছু বলেছে। তা নিয়ে বচসা হয়েছে। আমার ছেলেকেই মারধর করা হয়।”

Molestation Woman
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy