জনসংযোগে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি বিধায়ক সুকুমার রায়। তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটে কোচবিহার শহর সংলগ্ন চকচকায়।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সুকুমার বেশ কয়েক দিন ধরে তাঁর বিধানসভা এলাকায় গ্রামে গ্রামে ঘুরে জনসংযোগ করছিলেন। এ দিন তিনি চকচকা এলাকায় যান। সেখানে বেশ কয়েক জন তৃণমূল কর্মী পতাকা হাতে বিজেপি বিধায়কের গাড়ি আটকে দেন। ‘সুকুমার রায় গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। ওই সময়ে কয়েক জন বিজেপি কর্মী প্রতিবাদ করলে উত্তেজনা ছড়ায়। সুকুমার নিজেও গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। পরে সুকুমারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা তৃণমূল কর্মীদের সরিয়ে দেন।
সুকুমার বলেন, ‘‘অল্প কয়েক জন তৃণমূল কর্মী এটা করেছে। ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। এ সব করে তৃণমূল আমাকে আটকাতে পারবে না।’’ তৃণমূলের কোচবিহার জেলার প্রবীণ নেতা আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, ‘‘মানুষ বিধায়ক নির্বাচন করে উন্নয়নের জন্য। কিন্তু বিজেপি বিধায়কেরা কোনও উন্নয়ন করে না। শুধু বিভাজনের রাজনীতি করে। স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয়েছে।’’ কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে বরাবর তৃণমূলের সংগঠন দুর্বল। এক সময়ে ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী হতেন বামেরা। বর্তমানে ওই আসন বিজেপির দখলে। রাজ্যে পরিবর্তনের পর থেকে ওই আসন অধরা রয়েছে তৃণমূলের। এ বারের লোকসভা নির্বাচনেও কোচবিহার আসনে তৃণমূল জয়ী হলেও ওই আসনে বিপুল ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন। এ বারে ওই আসন দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তবে বিজেপি বিধায়ক সুকুমার রায়ও আসন ধরে রাখতে ইতিমধ্যেই জোর জনসংযোগে বেরিয়েছেন। গত কয়েক দিন ধরেই তিনি কোচবিহার উত্তর বিধানসভার একাধিক গ্রামে জনসংযোগে বেরিয়েছেন। বুধবার তিনি গিয়েছিলেন চকচকায়। সেখানেই তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়েন।
তৃণমূলের চকচকা অঞ্চল যুব তৃণমূলের সভাপতি বিকাশ সূত্রধর বলেন, ‘‘একুশের নির্বাচনের জয়ের পর থেকে আর বিজেপি বিধায়ককে এলাকায় দেখা যায়নি। বিধায়ক কোটার টাকায় তিনি কোনও উন্নয়ন করেননি। তাই মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছে।’’ বিজেপির পাল্টা দাবি, সুকুমার বিধায়ক কোটার সামান্য টাকায় যা উন্নয়ন করেছেন, ক্ষমতায় থেকে তৃণমূল তা করতে পারেনি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)