রেশনে নিম্ন মানের খাদ্যসামগ্রী বিলির অভিযোগকে ঘিরে বিক্ষোভ অব্যাহত মালদহে। বৃহস্পতিবার মানিকচকের ধনরাজপুর গ্রামে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প চালু হলে ডিলারকে ঘিরে গ্রাহকেরা বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
সপ্তাহ খানেক আগে, গাজলে রেশনে নিম্ন মানের সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ তুলে গ্রাহকেরা বিক্ষোভ দেখান। বামনগোলার পাকুয়ায় রেশনে খাদ্যসামগ্রীর বদলে গ্রাহকদের টাকা দেওয়ার ছবিও দেখা গিয়েছে। ফলে, রেশন ব্যবস্থা নিয়ে একের পরে এক অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে জেলা খাদ্য সরবরাহ দফতর। মালদহের খাদ্য সরবরাহ দফতরের নিয়ামক মানিক সরকার বলেন, “রেশন নিয়ে অনিয়ম মানা হবে না। মানিকচকের ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাফিলতি থাকলে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ দিন মানিকচকের মথুরাপুরের ধনরাজপুর গ্রামে খাদ্যসামগ্রী বিলি শুরু হয়। অভিযোগ, চালে পোকা রয়েছে। আটা খাবার যোগ্য নয় বলে দাবি তুলে গ্রাহকেরা বিক্ষোভ দেখান। বন্ধ হয়ে যায় ‘দুয়ারে রেশন’। নিম্ন মানের খাদ্যসামগ্রী বিলির অভিযোগ নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উপরে দায় চাপিয়েছেন রেশন ডিলার ফুল মহম্মদ। তাঁর দাবি, “খাদ্য দফতরের তরফে যে সামগ্রী দেওয়া হয়, তা বিলি করা হয়েছে। আমার কোনও ভূমিকা নেই।” মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলর রানি মণ্ডল বলেন, “রেশনে চাল, আটার মান ভাল থাকে। কোথাও পোকা ধরা চাল দেওয়া হয় না। ধনরাজপুরের গ্রামের ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)