—প্রতীকী চিত্র।
ঘুমিয়ে পড়ায় লাথি মেরে আদিবাসী মহিলা কর্মীকে ‘শাস্তি’ দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরাতন মালদহের সাহাপুর। দুপুরে নার্সিংহোমের গেটে বাঁশ, লাঠি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান আদিবাসীরা। পরে, তির-ধনুক নিয়ে মালদহ-নালাগোলা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখানো হয়েছে। মালদহ থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এই ঘটনায় এখনও অভিযোগ হয়নি বলে দাবি পুলিশের। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মন্তব্য করতে চাননি অভিযুক্ত চিকিৎসক শশীকুমার গুপ্ত। তবে নার্সিংহোমের ম্যানেজার ইন্দ্রাণী রায়চৌধুরী বলেন, “আক্রান্ত মহিলা তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে সকালে অভিযোগ জানান। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দেওয়া হয়। তাও বিক্ষোভ দেখানো হয়।”
পুরাতন মালদহের সাহাপুরে মালদহ-নালাগোলা রাজ্য সড়কের ধারে দু’বছর আগে, নার্সিংহোম তৈরি হয়। সেখানে প্রথম থেকেই চতুর্থ শ্রেণি পদে কাজ করছেন হবিবপুরের বাসিন্দা ওই মহিলা। বৃহস্পতিবার রাতে নার্সিংহোমের দোতলায় ছিলেন তিনি। রাত সাড়ে ৩টা নাগাদ ঘুমিয়ে পড়েন। চিকিৎসক শশীকুমার গুপ্ত তাঁকে এলোপাথাড়ি লাথি মারেন ও জাতি তুলে গালাগালি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত মহিলার এক সহকর্মী রেখা হেমব্রম বলেন, “চিকিৎসক শশীকুমার গুপ্ত আমাদের উপরে অত্যাচার চালান। গভীর রাতে ওই মহিলার চোখ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাতেই তাঁকে লাথি মারা হয়েছে। চিকিৎসকের শাস্তি চাইছি। প্রয়োজনে পুলিশে অভিযোগ জানানো হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy