—প্রতীকী চিত্র।
১০ জুলাই রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচন। সদ্য শেষ হওয়া রায়গঞ্জ লোকসভার ভোটে বিজেপি এই বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের থেকে ৪৬,৭৩৯ ভোটে এগিয়ে রয়েছে। তাও স্বস্তিতে নেই বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা নেতৃত্ব। বিজেপির অন্দরের খবর, জেলা নেতৃত্ব দলের অন্দরে ২০১৯ সালের কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার উপ-নির্বাচনের ফলের কথা মনে করিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের আত্মতুষ্টিতে না ভোগার নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই কেন্দ্রে কোনও রাজনৈতিক দলই প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, “উপ-নির্বাচনে পুলিশ ও প্রশাসন নানা কৌশলে রাজ্যের শাসক দলকে জেতানোর চেষ্টা করবে। তৃণমূলও সন্ত্রাস করে ভোট লুটের চেষ্টা করবে। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের ভোটে এই বিধানসভায় এগিয়ে থাকলেও দলের নেতা ও কর্মীদের আত্মতুষ্টিতে না ভুগে দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে রাজনৈতিক লড়াই ও প্রচার চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের থেকে ৫৭ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল। বছরের শেষে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে তৃণমূল আড়াই হাজার ভোটে বিজেপিকে হারায়। বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর দাবি, বিধানসভার উপ-নির্বাচনের ফলের কারণে রাজ্যের সরকার বদল হয় না। কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে তৃণমূল বিষয়টি সাধারণ মানুষকে বোঝাতে পেরেছিল। লোকসভায় ৫৭ হাজার ভোটে বিজেপি এগিয়ে থেকেও উপ-নির্বাচনে আড়াই হাজার ভোটে হেরে যায়। বিশ্বজিৎ বলেন, “এ বার রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনেও তৃণমূল সেই প্রচার করবে বলে ধরে নিয়েছি। আমরাও মানুষকে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে রাজ্যে ক্ষমতা বদলের মহড়া হিসেবে এই কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে ভোট দেওয়ার প্রচার শুরু করেছি। জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের দাবি, রাজ্যের উন্নয়ন ও সম্প্রীতির স্বার্থে উপ-নির্বাচনে রায়গঞ্জের মানুষ তৃণমূলের পাশে থাকবেন। বিজেপি তা বুঝতে পেরেছে। কানাইয়া বলেন, “বিজেপি এই উপ-নির্বাচনে হারবে বুঝতে পেরে আগে থেকেই পুলিশ, প্রশাসন ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপি ও সন্ত্রাসের আশঙ্কার কথা বলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy