Advertisement
E-Paper

ছেলের কাছে টাকা না পেয়ে মাকে কোপ

ছেলের কাছে পাওনা ৫০ টাকা না পেয়ে তাঁর মাকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদহের বালা সাহাপুর এলাকায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৩৫

ছেলের কাছে পাওনা ৫০ টাকা না পেয়ে তাঁর মাকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদহের বালা সাহাপুর এলাকায়। আক্রান্ত মহিলা আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।

ঘটনার দিনই মালদহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশ জানিয়েছে, আহত মহিলার নাম সাবিত্রী মন্ডল। তাঁর স্বামী ঝটন পেশায় রাজমিস্ত্রি। অভিযুক্ত প্রতিবেশী ছোটন মণ্ডল ফেরার। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাবিত্রীদেবীর ছেলে লক্ষণ পেশায় রাজমিস্ত্রি। তিনি সপ্তাহখানেক আগে সাহাপুরে প্রতিবেশী ছোটনকে শ্রমিক হিসেবে নিয়ে একটি বাড়ির পাঁচিল তৈরি করতে যান। শ্রমিকদের দিনমজুরি হিসেবে ২৫০ টাকা করে দেওয়া হয়। লক্ষণবাবু ছোটনকে ২০০ টাকা ওইদিন দিলেও বাকি ৫০ টাকা পরে দিবেন বলে জানিয়েছিলেন। তবে সাতদিন পরেও বকেয়া টাকা না পেয়ে এ দিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ লক্ষণের বাড়িতে গিয়ে মদ্যপ অবস্থায় ছোটন গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ। সেই সময় বাড়িতে একাই ছিলেন সাবিত্রীদেবী। ছেলেকে গালিগালাজ করায় প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। এর পরেই ছোটন বাড়ির বারান্দায় থাকা হাঁসুয়া নিয়ে তাঁর মাথায় কোপ মারে বলে অভিযোগ। সাবিত্রীদেবীর চিৎকারে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।

সাবিত্রীদেবীর মাথায় ছটি সেলাই পড়েছে। সাবিত্রীদেবীর ছেলে লক্ষণ মালদহ থানায় ছোটনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই দিনের পর থেকে হাতে তেমন কাজ নেই। তাই বাকি টাকা পরে দেব বলেছিলাম। মাত্র ৫০ টাকার জন্য বাড়িতে ঢুকে এইভাবে মায়ের উপরে হামলা করবে ভাবতেই পারিনি।’’ পুরাতন মালদহের বিধায়ক তথা সাহাপুরের বাসিন্দা ভূপেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, ‘‘পুলিশকে আইননত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’’

Allegation Son Attack Mother
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy