টাকা ধার দিয়েছিলেন। কিন্তু আসল নেওয়ার পরে চড়া সুদ দাবি করেন। সেই টাকা না পেয়ে বাড়ি গিয়ে মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর অভিযোগ কোচবিহারের দিনহাটা এলাকায়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দিনহাটার চৌধুরীহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের জায়গির বালাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মায়া দাস তাঁর প্রতিবেশী মজদুল হকের কাছে একটি সোনার আংটি রেখে পাঁচ হাজার টাকা ধার নেন। সেই টাকা পরিশোধ করে আংটি ফেরত চাইলে মজদুল সুদের টাকা দাবি করেন। কিন্তু সুদের টাকা দিতে রাজি হননি মায়া। অভিযোগ, সে জন্য মজদুল তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে মায়ার বাড়িতে যান। সেখানে তর্কাতর্কি হয় দুই পক্ষের। তার পরেই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
অভিযোগকারিণীর দাবি, ‘‘যখন মজদুল হককে আংটি দেওয়া হয়েছিল, তখন সে বলেছিল সুদের টাকা লাগবে না। আসল টাকা দিয়ে আংটি নিয়ে যাবেন। টাকা জোগাড় করে আংটি আনতে গেলে অতিরিক্ত টাকা টাকা দাবি করে মজদুল। আংটিটা সম্ভবত ও বিক্রি করে দিয়েছে। তাই এখন সুদ বাবদ ১৫ হাজার টাকা দাবি করছে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় মজদুল তার স্ত্রীকে নিয়ে আমার বাড়িতে ঢুকে মারধর করে। আমার স্বামীকেও মারধর করা হয়েছে। মেয়েকেও ছাড়েনি ওরা।’’
আরও পড়ুন:
ওই মহিলার স্বামী পুরো ঘটনার বিবরণ জানিয়ে সাহেবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাক্রমে পুলিশ গিয়ে মহিদুলকে থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমাদের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’