Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Cooch Behar

Ananta Maharaj: কোচবিহার নিয়ে ফের দাবি অনন্তের

দিন দু’য়েক আগেই দিনহাটার সাহেবগঞ্জের একটি সভায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বাংলা ভাগ করতে এলে, রক্ত ঝরবে।

অনন্ত মহারাজ।

অনন্ত মহারাজ। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার ও কুমারগ্রাম শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২২ ০৫:৫২
Share: Save:

তিন দিন আগেই নিউ কোচবিহারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক-সহ বিজেপি বিধায়কদের উপস্থিতিতে একটি সভা থেকে অনন্ত রায় (মহারাজ) দাবি করেছিলেন, কোচবিহার ‘রাজ্য’ ‘কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল’ হচ্ছে। আর এ বার কুমারগ্রামে তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সহ-সভাপতি প্রেমানন্দ দাসের বাড়িতে বসেও একই দাবি করলেন তিনি। আক্রমণ করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহকে। মহারাজের পাশে বসেই অবশ্য রাজ্য ভাগের দাবির বিরোধিতা করেছেন প্রেমানন্দ।

‘গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন’-এর প্রধান অনন্ত মহারাজ মঙ্গলবার কুমারগ্রামে দাবি করেন, কোচবিহারকে আলাদা রাজ্য করলে তাদের আপত্তি রয়েছে কী না, তা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই তারা মেনে নেবে— এই মর্মে ২০০৭ সালে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে কেন্দ্রের কাছে চিঠি যায়। অনন্ত বলেন, “এই অবস্থায় কোচবিহারকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আমাদের আর কোনও আলোচনা করতে হবে না। কোচবিহার ‘গ’ শ্রেণির রাজ্য ছিল। ২০১৫ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। কেন্দ্র আশ্বাসও দিয়েছে। এখন লোকসভার পাশাপাশি, রাজ্যসভাতেও কেন্দ্রের শাসক দলই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই অতি শীঘ্রই কোচবিহার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবে বলে আশা করছি।”

দিন দু’য়েক আগেই দিনহাটার সাহেবগঞ্জের একটি সভায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বাংলা ভাগ করতে এলে, রক্ত ঝরবে। এই প্রসঙ্গে মহারাজ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার যেখানে বলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত তারা মেনে নেবে, সেখানে এক জন মন্ত্রী এমন কথা বললে, বলতে হয় সংবিধান সম্বন্ধে ওঁর জ্ঞান নেই। অথবা, চিন্তা ভাবনায় কোনও গোলমাল রয়েছে।” একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখন তাদের কথা বদলাচ্ছে কি না সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।

উদয়ন অবশ্য এ দিন ফের বলেন, “অতীতেও রাজ্য ভাগের বিরোধিতা করেছি। এখনও করছি। আগামিদিনেও করব। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজ্য ভাগের বিরোধী।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘অনন্ত মহারাজ রাজ্য ভাগের দাবি তোলার কে? কত শতাংশ মানুষ ওঁর এই দাবিকে সমর্থন করেন? উনি নিজেই তো অসমে থাকতেন।’’ মন্ত্রীর দাবি, ২০০৭ সালে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের লিখিত ভাবে কিছু কথা হয়ে থাকলে, মহারাজ আগে তা প্রকাশ করুন। মুখে এমন দাবি করলে হবে না। তা ছাড়া এখন রাজ্যে সরকার বদল হয়েছে। অন্য সরকার কোনও কিছু করে থাকলে, তার দায় এই সরকার নেবে কেন? মহারাজের পাশে বসেই প্রেমানন্দও বলেন, “আমিও রাজ্য ভাগের বিরোধী। তবে রাজ্যভাগ নিয়ে বিজেপি দ্বিচারিতা করছে। এটা বন্ধ করে বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্বের উচিত, নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cooch Behar Ananta Maharaj
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE