Advertisement
E-Paper

বাগানে গোলমালের চেষ্টা চলছে: অনীত

সোমবার কার্শিয়াং পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের আগে রেলস্টেশন এলাকায় অনীতের দল প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার জমায়েত হয়। সেখানে পঞ্চায়েত সমিতিতে নির্বাচিতদের খাদা পরিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৩ ০৫:১৭
কার্শিয়াঙয়ের সভামঞ্চে বক্তৃতা রাখছেন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা সুপ্রিমো অনীত থাপা।

কার্শিয়াঙয়ের সভামঞ্চে বক্তৃতা রাখছেন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা সুপ্রিমো অনীত থাপা। ছবিঃ স্বরূপ সরকার।

জমির পাট্টাকে সামনে রেখে চা বাগানের শ্রমিকদের ভুল বুঝিয়ে পাহাড়ে গোলমাল পাকানোর ছক করার অভিযোগ তুললেন গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এর প্রধান অনীত থাপা। সোমবার কার্শিয়াং পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের আগে রেলস্টেশন এলাকায় অনীতের দল প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার জমায়েত হয়। সেখানে পঞ্চায়েত সমিতিতে নির্বাচিতদের খাদা পরিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। নির্বাচিত সদস্যেরা ব্লক অফিসে গিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। কার্শিয়াং শহরে অনীতকে সামনে রেখে মিছিলও হয়। তার আগে জমায়েতে পাট্টার বিষয়টি তুলে ধরে অনীত গোলমালের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তবে তিনি কারও নাম করে অভিযোগ করেননি।

অনীত বলেন, ‘‘পাহাড়ের চা শ্রমিকদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা চলছে। গোলমাল করার পরিকল্পনা হচ্ছে। যদিও আমরা তা হতে দেব না। বাগান এলাকার মানুষ প্রথম বার জমির কাগজপত্র পাবেন— এটা নিয়েও রাজনীতি শুরু হয়েছে।’’ তিনি জানান, বাগানবাসীরা দু’তিন ডেসিমেল জমিতে ঘর বানিয়ে থাকেন এবং তা পাঁচ ডেসিমেল করে সরকারি প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। এর বাইরে অন্তত ২০ শতাংশ চা বাগানের বাসিন্দার কৃষিজমি রয়েছে। তার পাট্টা দেওয়ার জন্যো সরকারকে বলা হয়েছে। অনীতের বক্তব্য, এই জমির অধিকার পুরো পাওয়া যাবে না এবং শরণার্থী পাট্টা হবে বলে অসত্য প্রচার করা হচ্ছে।

দার্জিলিং পাহাড়ে ৮৬টি বড় চা বাগান রয়েছে। লক্ষাধিক শ্রমিক প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে বাগানের উপর নির্ভরশীল। গোর্খাদের অনেকে স্বাধীনতার আগে থেকে বংশপরম্পরায় বাগানের জমিতে থাকেন। কিন্তু ৮০ শতাংশ পাহাড়বাসীর জমির নথিপত্র নেই। এঁদের বড় অংশ চা বাগানের বাসিন্দা। এর বাইরে বনবস্তি, ডিআই ফান্ডের জমিতেও বহু মানুষ বসবাস করছেন। চা বাগানের অব্যহৃত এবং ফাঁকা জমির পাট্টা ছাড়াও ডিআই ফান্ডের জমির নথিও পাহাড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কিন্তু এরই মধ্যে দার্জিলিঙের বিজেপি বিধায়ক তথা জিএনএলএফ সেক্রেটারি জেনারেল নীরজ জিম্বা পাট্টা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। শ্রমিকদের জমি পাঁচ ডেসিমেল মেপে দেওয়া, চাষের জমির অধিকার না দেওয়া, খতিয়ানভুক্ত জমির অধিকারের মতো প্রশ্ন তোলেন নীরজ। এ দিন তাঁর দলের তরফে একই দাবিতে কার্শিয়াং বাজারে পোস্টারিং হয়। পাট্টা নিয়ে সরব হামরো পার্টিও। প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা নেতাদের দাবি, বাগানের কারও জমির নথি নেই। সেই নথি এ বার তৈরি হচ্ছে। ঋণ, হোম-স্টে, হোটেল বা ছোট লাইসেন্স নিয়ে দোকান— সবেতেই নথি কাজে লাগবে।

অনীত বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাগানে বাগানে পৌঁছচ্ছে। সিঙ্কোনা বাগানের জন্যও আমরা ব্যবস্থা করছি। মানুষকে বিভ্রান্ত করে পাহাড়ে অশান্তি, গোলমালের চেষ্টা করা হলে রুখে দেওয়া হবে।’’

Kurseong GTA
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy