Advertisement
০৩ মে ২০২৪

পুড়িয়ে খুনের চেষ্টা

ভাসুরের কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেননি। বরং বলেছিলেন, এই কুপ্রস্তাব দেওয়ার কথা স্বামী ও বাপের বাড়িতে জানিয়ে দেবেন। সেই ‘অপরাধে’ রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই বধূর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁচল শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৬ ০১:৫৯
Share: Save:

ভাসুরের কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেননি। বরং বলেছিলেন, এই কুপ্রস্তাব দেওয়ার কথা স্বামী ও বাপের বাড়িতে জানিয়ে দেবেন। সেই ‘অপরাধে’ রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই বধূর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু মালদহের পুখুরিয়া থানার পরাণপুর এলাকায় মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার গায়ে আগুন দেওয়ার পরে ঘরের ছিটকিনিও তুলে দেওয়া হয়েছিল। বধূর চিত্কারে শ্বশুর-শাশুড়ি ও প্রতিবেশীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে আড়াইডাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। চাঁচলের এসডিপিও রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনও কেউ অভিযোগ জানায়নি।’’

পুলিশ ও বধূর পরিজনেদের সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকচক এলাকার ওই বধূর দু’বছর আগে পরাণপুর এলাকায় বিয়ে হয়। স্বামী দিল্লিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। শ্বশুর-শাশুড়ি ছাড়াও বাড়িতে রয়েছেন ভাসুর। স্বামী বাড়িতে না থাকায় ভাসুর ওই বধূকে নানা ভাবে কুপ্রস্তাব দিতেন বলে অভিযোগ। ভাসুরের কুকীর্তির কথা বাপের বাড়িতেও একাধিকবার জানিয়েও ছিলেন ওই বধূ। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে তাঁরা কিছু বলতে পারেননি। মালদহে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই বধূ এ দিন বলেন, ‘‘ভাসুর খারাপ প্রস্তাব দিত। মঙ্গলবার একা পেয়ে আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে থাকে। কোনও রকমে রক্ষা পাই। রাতে কিছু বুঝে ওঠার আগেই গায়ে কেরোসিন তেল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।’’ বধূর বাবা বলেন, ‘‘ভাসুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ মেয়ে আগেও বলেছিল। কিন্তু তা যে এত দূর গড়াবে ভাবতেই পারিনি। জামাই দিল্লি থেকে রওনা হয়েছে। ও আসার পর যা করার করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE