—ফাইল চিত্র।
জুন মাসে পাহাড়ে আন্দোলন শুরু হতেই কমে গিয়েছিল যাত্রী সংখ্যা। কিন্তু পরবর্তী সময়ে উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি চরম আকার নেয়। বন্যার তোড়ে ভেসে যায় তেলতা সেতু। যার জেরে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগকারী রেল পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাসিন্দাদের ভরসা হয়ে ওঠে বিমান পরিষেবা। তখন থেকেই ধাপে ধাপে ফের বাড়তে থাকে যাত্রী সংখ্যা। যা এখনও বজায় থাকায় গত ছ’মাসে যাত্রী সংখ্যার নিরিখে রেকর্ড ছুঁল বাগডোগরা বিমানবন্দর।
সোমবার বিকেলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, গত এপ্রিল মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত হিসেবে যাত্রী সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লক্ষ ৬৫ হাজারের মত। গত বছর একই সময়ে সেই সংখ্যা ছিল ৬ লক্ষ ৫৫ হাজারের মত। বিমানবন্দরের আধিকারিকদের আশা, বাগডোগরা বিমানবন্দরে যাত্রী সংখ্যা এ ভাবে বাড়তে থাকলে চলতি আর্থিক বছরে সংখ্যাটা ২০ লক্ষে পৌঁছোবে।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধির্কতা রাকেশ সহায় বলেন, ‘‘গত ছ’মাসের যাত্রী সংখ্যা ৬২ শতাংশ হারে বেড়েছে। আগামী মার্চ মাসে সংখ্যা ২০ লক্ষ ছুঁয়ে ফেলবেই বলে মনে হচ্ছে। বাগডোগরার বিমানবন্দরের ইতিহাসে এটি একটি রেকর্ড।’’ তিনি আরও জানান, ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরেও যাত্রী সংখ্যা রেকর্ড হয়েছিল। সে বার যাত্রী সংখ্যা পৌঁছেছিল ১৫ লক্ষে।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বর্তমানে সোম, মঙ্গল ও বুধবার ২১টি বিমান যাতায়াত করে। বাকি দিনগুলোতে ভুটানের পারো, ব্যাংককের উড়ান মিলিয়ে মোট ২২টি বিমান ওঠানামা করে। গত বছরের তুলনায় যা বেশি। সেই সঙ্গে ইতিমধ্যে ইন্সট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস) বসে গিয়েছে। যা বর্তমানে শুধুমাত্র দিল্লির অসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছে। আধিকারিকদের আশা, আগামী এক মাসের মধ্যে ওই ছাড়পত্র মিলে যাবে। তাতে সকালের দিকে এবং সন্ধ্যার দিকেও কলকাতা, দিল্লিতে বিমান চালানোর বিষয়ে উৎসাহ বাড়বে বিমান সংস্থাগুলির।
গত সপ্তাহে বাগডোগরা বিমানবন্দরের লাউঞ্জে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) খারাপ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। কয়েকটি এসি সঠিকভাবে কাজ না করায় গরমে নাজেহাল হন যাত্রীরা। বিষয়টি জানার পরেই নড়েচড়ে বসেন কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দর অধিকর্তা জানান, এসিগুলি ঠিক করা হচ্ছে। সমস্যা মেটাতে নতুন দু’টি নতুন এসিও লাগানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy