সেলুলয়েডে বাজিরাওয়ের নজর কেড়েছিল মস্তানি। এ বারে পুজোয় সেই কায়দায় শহরের নজর কাড়তে ‘বাজিরাও মস্তানি’কে হাতিয়ার করেছে বিক্রেতারা। কোচবিহার শহরের যে কোনও বস্ত্র প্রতিষ্ঠানেই দেদার বিক্রি হচ্ছে এই পোশাক। পছন্দের রঙে এই পোশাক বেছে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন অনেক তরুণীই।
বস্ত্র ব্যবসায়ীরা জানান, এ বার পুজোর বাজার মাত করেছে ওই পোশাক। কাপড়ের উপরে নির্ভর করছে পোশাকের দাম। দুই হাজার থেকে চার হাজার বা তার বেশি দামেও বিকোচ্ছে ‘বাজিরাও মস্তানি’। ভবানীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকার বস্ত্র প্রতিষ্ঠানের মালিক দীপঙ্কর কুণ্ডু বলেন, “নানা বয়সের মেয়েরা ওই পোশাক কিনছেন। বলা যেতে বাজিরাও মস্তানি এ বার হিট।”
ভবানীগঞ্জ বাজার যাওয়ার পথেই জামাকাপড়ের একাধিক শোরুম রয়েছে। শহরের এক নামকরা বস্ত্র প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র সোমা দাস জানান, প্রতিদিন তাঁদের দোকান থেকে ২৫ থেকে ৩০ টি বাজিরাও মস্তানি বিক্রি হচ্ছে। কিশোরীই হোক বা তরুণী ওই পোশাকের প্রতি আগ্রহ সবারই। এই পোশাকের নিচের অংশ ‘ঘাঘরা’র মতো। আর উপরে ‘লং কুর্তি’। নেট, সিল্ক-সহ নানা ধরণের কাপড়ের উপর পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, “যে কোনও তরুণী ওই পোশাক পড়লে তাঁকে ভাল লাগে। তাই বোধহয় এবারে ওই পোশাকের প্রতি ঝোঁক বেশি।”
গত বছর মুক্তি পেয়েছিল হিন্দি ছবি ‘বাজিরাও মস্তানি’। গত বছর ওই পোশাক বের হলেও কোচবিহার শহরে সেভাবে এই পোশাকের দেখা মেলেনি। এ বার ওই পোশাকে বাজার ছেয়েছে। গুঞ্জবাড়ির কলেজ পড়ুয়া প্রিয়স্মিতা নন্দী বলেন, “ওই সিনেমাটা আমার প্রিয়। দীপিকা পাড়ুকোনের পড়নের ওই পোশাকও খুব প্রিয়। বাজারে গিয়ে মনের মতো বাজিরাও মস্তানি পেয়ে তাই আর হাতছাড়া করিনি।” মসজিদপাড়ায় এক বধূও ওই পোশাক কিনেছেন। তিনি বলেন, “ওই পোশাক দীর্ঘদিন ধরেই মনে ছিল। এ বারে হাতের কাছে পেয়ে তাই কেনার আগে আর দু’বার ভাবিনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy