ম্যাকোর সঙ্গে অনুশীলনে আকাশ। —ফাইল চিত্র।
রাঁচিতে অভিষেক টেস্টে ‘ছাত্রের’ আগুন ঝরানো বোলিং দেখে উচ্ছ্বসিত বাংলা দলের বোলিং কোচ, প্রাক্তন ক্রিকেটার শিবশঙ্কর পাল। কোচবিহারের তুফানগঞ্জের ছেলে শিবশঙ্কর ওরফে ম্যাকো ওই তরুণ ক্রিকেটারের সাফল্যের নেপথ্যে অন্যতম কারিগর। গত বছর আইপিএল শুরু হওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমে আকাশদীপ বলেছিলেন, “ম্যাকোদা আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। লাইন ও লেংথের সমস্যা একেবারেই কেটে গিয়েছে তাঁর কাছে অনুশীলন করে।” শুক্রবার ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সিতে সেই আকাশের অভিষেক হয়। স্বাভাবিক ভাবেই, টেস্ট অভিষেকে ছাত্র আকাশের সাফল্যে (৭০ রানে তিন উইকেট) দারুণ খুশি ম্যাকো। তিনি বলেছেন, “ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে খেলায়। আকাশ এখন সেরা বোলারদের এক জন। ও আরও অনেক দূর যাবে।””
রাঁচিতে শুক্রবার শুরু হয়েছে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট। টসে জিতে ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাটিং নেয়। ওই ম্যাচে দিনের শুরুতে প্রথম স্পেলে ঝোড়ো বোলিং করে আকাশ তুলে নেন তিনটি উইকেট। ফোনে ম্যাকোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আকাশদীপকে তিন বছর ধরে কাছে থেকে দেখছি। ভীষণ পরিশ্রমী ছেলে। ওর বলে গতি তো ছিলই, কঠোর অনুশীলন করে দারুণ উন্নতি করেছে। প্রথমে ইনসুইংটা দারুণ করত, আউটসুইংয়ে খামতি ছিল। বিভিন্ন ম্যাচের পরে,আলোচনা করতাম। ছোটখাটো ভুল-ত্রুটি শুধরে দিতাম। এখন লাইং, লেংথ ঠিক রেখে গতির সঙ্গে ইনসুইং, আউটসুইং—সব কিছুতেই ও খুবই দক্ষ।”
বোলিং কোচ হিসেবে আকাশদীপকে কী ভাবে দেখেছেন? ম্যাকো বলেন, “ক্লাব হোক বা রঞ্জি ম্যাচ, সবেতেই নিজের একাশো শতাংশ নিংড়ে দিয়েছে। আমিও সব সময়ে বলেছি দম দিয়ে বল করতে। রাঁচীতে প্রথম দিনে সে সবই করে দেখিয়েছে ও।”
ম্যাকো জানিয়েছেন, আকাশ আরও অনেক দূরে যাবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন। বলেন, ‘‘সে প্রতিভা এবং পরিশ্রম করার মানসিকতা ওর আছে। শুধু ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy