E-Paper

এ বার ‘পাড়ায়’ বিজেপির সুকান্ত

‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে গিয়ে তৃণমূল নেতারা কেন্দ্রীয় আবাসন প্রকল্প নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন এই জেলায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৫১
সুকান্ত মজুমদার।

সুকান্ত মজুমদার। ফাইল চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে, তৃণমূলের ‘দিদির দূত’ কর্মসূচির মোকাবিলায় এ বার ‘পাড়ায় সুকান্ত’ কর্মসূচি নিল বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের এলাকা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে রাজ্যে ওই কর্মসূচি শুরু হবে। কিন্তু এই কর্মসূচিতে আদৌ লাভ হবে কি না, প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।

‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে গিয়ে তৃণমূল নেতারা কেন্দ্রীয় আবাসন প্রকল্প নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন এই জেলায়। যদিও শাসক দলের একাধিক নেতা, মন্ত্রীরা কেন্দ্রীয় সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে মানুষকে বুঝিয়েছেন বলেও পাল্টা অভিযোগ বিজেপির। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের ওই কর্মসূচির মোকাবিলায় নতুন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সক্রিয় হল বিজেপি।

কিছু দিন আগেই ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে সুকান্তকে এলাকায় দেখা যায় না বলে অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তৃণমূলের অরূপ বিশ্বাস। সুকান্ত শিবিরের পাল্টা দাবি, রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পরে ব্যস্ততা বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু জেলায় এলে সুকান্ত জনসংযোগেই মন দেন। বিজেপির নেতারা জানান, আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি কলকাতা থেকে জেলায় ফিরছেন সুকান্ত। তাঁর থাকার কথা তিন দিন। সে তিন দিনই তাঁর এই কর্মসূচি রাখা হয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

সুকান্ত কী বলবেন? এই কর্মসূচি তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত এবং একেবারেই নিজের সংসদীয় এলাকার জন্য জানিয়ে এ দিন সুকান্ত বলেন, ‘‘বিভিন্ন এলাকায় মানুষের কাছে গিয়ে তাঁদের সুবিধা, অসুবিধার কথা শোনা, তাঁদের শংসাপত্র দেওয়া, চিকিৎসা থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল-সহ বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য, এমনিতেই আমরা সাংসদ কার্যালয়, দলীয় অফিস থেকে করে থাকি। সেটাকে মানুষের কাছে আরও এক ধাপ নিয়ে যাওয়ার জন্য এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’’

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি সভাপতি স্বরূপ চৌধুরীর দাবি, ‘‘দিদির দূত হয়ে গ্রামের মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে তৃণমূল। ওদের নেতারা টাকা চুরি করেছে বলে আবাসন, ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে গিয়েছে। আমাদের রাজ্য সভাপতি সে প্রচারই গ্রামে গ্রামে করবেন।’’

যদিও সুকান্তের এই প্রচার আদৌ কাজ করবে না বলেই দাবি করছে তৃণমূল। দলের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘প্রস্তাব থাকলেও জেলায় রেলের ওয়াগন কারখানা করতে পারেননি সুকান্ত। লোকসভা ভোট গিয়েছে ২০১৯ সালে। গ্রামের মানুষ তাঁর কথা বিশ্বাস করবে তো!’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

BJP Sukanta Majumdar Didir Doot

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy