প্রতীকী ছবি।
দিনে-রাতে এক ডাকে পনেরোটি মোটরবাইক জড়ো করার লক্ষ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রুপ তৈরি করেছে বিজেপি! জলপাইগুড়ি জেলার প্রতি বুথে এমন গ্রুপ হয়েছে। প্রতিটি গ্রুপে নজরদারির জন্য রয়েছে একজন করে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি রয়েছেন। যাঁর কাজ হল গ্রুপের সব সদস্যের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ রাখা। প্রতিটি গ্রুপে ষাট থেকে দেড়শো জন করে সদস্য রাখার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যাঁদের বাইক রয়েছে, তাঁদের গ্রুপে রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, এখন বুথভিত্তিক হলেও আগামী মাস থেকে পাড়াভিত্তিক গ্রুপ হতে চলেছে এবং যাঁদের বাইক নয় তাঁদেরও যুক্ত করা হবে। গ্রুপের উদ্দেশ্য একটিই, কোনও প্রয়োজন পড়লে একসঙ্গে যেন অনেকে জড়ো হয়ে যেতে পারেন। কখন ডাক পড়বে, সঙ্গে সঙ্গে কর্মীদের যাওয়ার জন্য রসদ প্রয়োজন। বাইকের তেল চাই, সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর রাখতে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ চাই। দুইয়ের ব্যবস্থাই দলের তরফ থেকে করা হচ্ছে বলে খবর।
বিজেপির তরফে দাবি করা হচ্ছে, কিছু না হলেও যেন ন্যূনতম পনেরো জন জড়ো হতে পারে, সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এক বিজেপি নেতার কথায়, “কোনও গ্রুপেই চল্লিশ জনের কম সদস্য নেই। বার্তা পাঠিয়ে কোথাও ডাকা হলে অন্তত পনেরো জন জড়ো হতে পারা তাই সমস্যা নয়। প্রয়োজন পড়লে যে এলাকায় যেতে হবে, সেখান থেকে যাদের বাড়ি কাছে, তাদের ফোন করেও যেতে বলা হয়। গ্রুপের একজন বিশেষ পরিচালক রয়েছে। তিনিই ফোন করে দেন।”
এই ‘বিশেষ পরিচালক’ হলেন ওই এলাকার সঙ্ঘের প্রশিক্ষিত যুবক, এমনটাই খবর বিজেপি সূত্রে। এমন গ্রুপের সফলতা মিলেছে উলেন রায়ের ঘটনায়, দাবি গেরুয়া শিবিরের। উত্তরকন্যা অভিযানে গিয়ে মৃত উলেন রায়ের বাড়িতে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা আসছেন বলে বেশ কয়েকবার খবর ছড়িয়ে পড়ে। সেই খবর পেয়ে বিজেপি নেতারা তড়িঘড়ি বাইক-গ্রুপে বার্তা পাঠান। সঙ্গে সঙ্গে কুড়ি থেকে ত্রিশটি বাইকে চেপে কর্মীরা জড়ো হয়ে পড়েছিল বলে দাবি। গ্রুপগুলি আপাতত বিভিন্ন শক্তিকেন্দ্রের নামে রয়েছে। শক্তি কেন্দ্র মানে বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোয় কয়েকটি বুথ নিয়ে একটি কমিটি। বিজেপি সূত্রের খবর, শক্তিস্থল বা শক্তিকেন্দ্র ভিত্তিক যেমন গ্রুপ রয়েছে তেমনিই বুথেও গ্রুপ হচ্ছে। কিছুদিন আগে বিজেপি সদর দফতর থেকে প্রতি বুথে কাদের বাইক রয়েছে এবং কাদের স্মার্টফোন রয়েছে তার তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিল। সেই তালিকা এখন বুথে পাঠিয়ে গ্রুপ তৈরির নির্দেশ এসেছে।
বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিজেপি নেতারা। জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আমার কিছু জানা নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy