Advertisement
E-Paper

হাতিয়ার মেরুকরণ, বলছেন বিরোধীরা

দিল্লি ভোটের প্রচারে বারবার মেরুকরণের তাস খেললেও তা কাজে আসেনি বিজেপির।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:০৮
জলপাইগুড়িতে দলের মিছিলে দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র

জলপাইগুড়িতে দলের মিছিলে দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র

দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যাই বলুন না কেন, সিএএ-কে কার্যত মেরুকরণেরই হাতিয়ার করলেন দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসুরা—অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীদের অনেকেই।

দিল্লি ভোটের প্রচারে বারবার মেরুকরণের তাস খেললেও তা কাজে আসেনি বিজেপির। উল্টোদিকে উন্নয়নের ফিরিস্তি নিয়ে প্রচারে নেমে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছে আপ। তারপরেও এ রাজ্যে, বিশেষত উত্তরবঙ্গে যে মেরুকরণ থেকে সরে আসতে রাজি নয় বিজেপি। তা স্পষ্ট দলের রাজ্য সভাপতির কথা থেকেই। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘বাংলাদেশে যারা ভাঙচুর করেছে, তারা এখানে এসেছে আবার। এসে উৎপাত করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওদের সমর্থন করছেন। এর যোগ্য জবাব দিতে হবে।”

বুধবার জলপাইগুড়ি শহর জুড়ে নয়া নাগরিক আইনের সমর্থনে মিছিল করেছে বিজেপি। সেখানেই দিলীপ এ কথা বলেন। মিছিলে মুকুল রায়ের আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। এ দিন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “কাউকে কোনও কাগজ দেখাতে হবে না। হিন্দু মানেই দেশের নাগরিক। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও নাগরিক।”

সিএএ ও এনআরসির বিরোধিতা করে বাম, কংগ্রেস, তৃণমূল সব দলই পথে নেমেছে। তা রুখতে গিয়ে পাল্টা প্রচারে নেমেছে বিজেপিও। কিন্তু পাল্টা প্রচারের নামে ধর্মের নাম তুলে মেরুকরণকেই বিজেপি হাওয়া দিচ্ছে বলে বিরোধীদের দাবি।

দিল্লিতে বিজেপির পরাজয়ে বাম-তৃণমূলের উচ্ছ্বাস নিয়েও কটাক্ষ করেছেন দিলীপ। তিনি বলেন, “দিল্লিতে ভোট হয়েছে। আমরা হেরেছি। কিন্তু তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম এত খুশি হচ্ছে কেন, ওরা তো নিজেরা দিল্লিতে সাফ হয়ে গিয়েছে।” তৃণমূল সরকার ভয় পেয়ে পুরভোট করাচ্ছে না বলে অভিযোগ করে দিলীপের মন্তব্য, “উত্তরবঙ্গে আটটার মধ্যে সাতটা লোকসভায় জিতেছি। এরপর পুরভোট, বিধানসভা ভোট যাই হবে তাতেই বিজেপি জিতবে।”

জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অর্ন্তগত সব বিধানসভা থেকে এ দিন লোক এনেছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ডুয়ার্স থেকে জলপাইড়ি শহরে ঢোকার জাতীয় সড়কে পুলিশ ইচ্ছে করে যানজট পাকিয়ে লোক আটকানোর চেষ্টা করেছে। বিজেপির দাবি, যানজটে আটকে কর্মী-সমর্থকরা গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে জলপাইগুড়ি এসেছেন। মিছিলের জেরে শহর জুড়েও যানজট ছড়িয়ে পড়ে। এ দিনের ভিড় দেখে খুশি দলের নেতৃত্ব। বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “দলের কর্মী-সমর্থকদের আমি স্যালুট করছি। ওদের চেষ্টার জন্যই এই ভিড়।”

তৃণমূলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যাণীর মন্তব্য, “বিজেপি নেতারা যা বলে গেলেন তাকে সরাসরি সাম্প্রদায়িক প্ররোচনা বলা হয়। বিজেপি যা চাইছে তা হতে দেব না।” দিলীপের বক্তব্যের বিরোধিতা করে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্মল ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘‘বিজেপি বিদ্বেষের বীজই ছড়ায়।’’ দিলীপের বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন বাম নেতারাও।

Dilip Ghosh BJP CAA Polarisation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy