Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

চোপড়ায় গুলি-বোমা

কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ, পঞ্চায়েতের আসনে ভোটে দাঁড়ানো কংগ্রেসকর্মী মিমারুল ইসলামের বাড়িতে এদিন ভাঙচুর চালায় পুলিশ। অভিযোগ, লক্ষ্মীপুরে এক কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় তৃণমূলের লোকজন। 

নিজস্ব সংবাদদাতা
চোপড়া শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:৫৪
Share: Save:

রাজনৈতিক সংঘর্ষ অব্যাহত চোপড়ায়। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও কংগ্রেস ও তৃণমূলের সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চোপড়ার ঘিরনীগাঁও ও লক্ষ্মীপুর।

এ দিনও ঘিরনীগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হাসনা বানুর দফতরে যাওয়া নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। তৃণমূলের অভিযোগ, প্রধান যাওয়ার পরই পঞ্চায়েত দফতরের বাইরে গুলি-বোমা ছুড়তে থাকেন কংগ্রেসের সদস্যেরা। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছলে পুলিশের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমাবাজি চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানোর পাশাপাশি রবার বুলেটও ছুড়তে হয়। দুই পুলিশ কর্মীও আহত হয়েছেন।

প্রধান হাসনা বানুর স্বামী মহিনুদ্দিন মির্জা বলেন, ‘‘প্রধান পঞ্চায়েত অফিসে গেলেই ওরা গন্ডগোল করছে। আগের দিনও তাই করেছে। এ দিন পুলিশের সঙ্গে গন্ডগোল হয় দুষ্কৃতীদের।’’

কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ, পঞ্চায়েতের আসনে ভোটে দাঁড়ানো কংগ্রেসকর্মী মিমারুল ইসলামের বাড়িতে এদিন ভাঙচুর চালায় পুলিশ। অভিযোগ, লক্ষ্মীপুরে এক কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় তৃণমূলের লোকজন।

কংগ্রেসের চোপড়া ব্লক সভাপতি অশোক রায় বলেন, ‘‘আমাদের কোনও কর্মীই গন্ডগোল করেনি। এদিন এলাকার মহিলারাই বাধা দিয়েছিল বলে শুনেছি। এলাকাতে পুলিশ তল্লাশির নামে আমাদের কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে। পরিবহণ মন্ত্রীর সভার পরই এই সন্ত্রাস থেকে পরিষ্কার এলাকাতে পুলিশ দিয়ে কারা সন্ত্রাস চালাচ্ছে। সমস্যা নিয়ে সর্বদল বৈঠক না করলে পরিস্থিতি শান্ত হবে না।’’

তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তাদের দাবি, এদিন পঞ্চায়েত সদস্যদের উপর হামলার পাশাপাশি লক্ষ্মীপুরেও আমাদের কয়েকজন কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। জেলা পরিষদের এক সদস্য মহম্মদ আজিজের বাড়িতে হামলা চালায় তারা। চোপড়ার তৃণমূলের বিধায়ক হামিদুল রহমান বলেন, ‘‘এলাকাতে সন্ত্রাস করছে কংগ্রেস। বারবারই পুলিশকে বলছি চার পাঁচ জন দুষ্কৃতী এলাকাতে গন্ডগোল করছে। তাদের ধরলেই সমস্ত সমস্যা মিটে যাবে। কিন্তু তা হচ্ছে না।’’ তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ প্রশাসনকেই সর্বদল বৈঠক ডাকতে হবে।’’ ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক মণ্ডল বলেন, ‘‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তিন জনকে আটক করা হয়েছে. এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chopra Firing Political Violence TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE