অবরোধ: রাস্তা আটকে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
সরকারি পুকুর ও বাগান দখলকে কেন্দ্র করে দু’গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল মালদহের গাজল থানার নসিসা গ্রামে।
মঙ্গলবার সকালে গোষ্ঠী সংঘর্ষকে ঘিরে গ্রামে বোমাবাজিও হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় তিন জন জখম হয়েছেন। প্রতিবাদে ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির সদস্যেরা দীর্ঘ ক্ষণ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। অবরোধ তুলতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে গাজল থানার পুলিশও। পরে মালদহ থেকে বাড়তি পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। গ্রামে রয়েছে পুলিশ পিকেট।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাজল থানার পাণ্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নসিসা গ্রামে সরকারি ১৭ বিঘা পুকুর ও ১৫ বিঘা আমের বাগান রয়েছে। গ্রামের বাসিন্দারা বাগানের আম ও মাছ সংগ্রহ করে থাকে। গ্রামটি আদিবাসী অধ্যুষিত। অভিযোগ, তৃণমূলের কিছু নেতা কর্মী পুকুর ও বাগানের দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ দিন সকালে তাঁরা বাগান ও পুকুরের দখল নিতে আসেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। অভিযোগ, গ্রামে চার থেকে পাঁচটি বোমাও ফাটানো হয়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে যায় গ্রাম জুড়ে। বোমার আঘাতে আহত হন লক্ষ্মী হাঁসদা, সুনীল মার্ডি ও সুরজিৎ হেমব্রম। তাঁরা ভর্তি রয়েছেন গাজলের হাতিমারি গ্রামীণ হাসপাতালে। এরই প্রতিবাদে এ দিন ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির নেতা কর্মীরা তির ধনুক নিয়ে গাজলের পাণ্ডুয়ায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টে পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ। যার জেরে জাতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়ে যানজট হয়। চরম দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। প্রথমে অবরোধ তুলতে যায় গাজল থানার পুলিশ। পরে মালদহ থেকে বাড়তি পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে দেয়।
ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির নেতা মোহন হাঁসদা বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতা বাসু মণ্ডলেরা জোর করে বাগান ও পুকুর দখলের চেষ্টা করছে। আমরা বাধা দিলে বোমা, নিয়ে হামলা চালায়। তাদের শাস্তির দাবিতে এ দিন আমরা রাস্তায় নেমেছি।’’ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাণ্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বাসু মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘এখানে দলের কোন বিষয় নেই। তাদের নিজেদের মধ্যে গোলমাল।’’ পুলিশ জানিয়েছে, পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy