Advertisement
২১ মে ২০২৪
Shootout at Dinhata

বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ কিশোর, পুলিশের দাবি, ঘাতক আহতের বাবা!

স্থানীয়দের দাবি, ছেলেটির বাবার এক বন্ধু গুলি চালান। একটি গুলি এসে লাগে কিশোরের পাঁজরে। অন্য দিকে, পুলিশ জানিয়েছে, নিজের ছেলেকে গুলি করেছেন বাবা।

Boy shot

হাসপাতালের স্ট্রেচারে শুয়ে গুলিবিদ্ধ বালক। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
দিনহাটা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৩ ১৯:১৬
Share: Save:

বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হল ১১ বছরের এক কিশোর। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের দিনহাটার সাহেবগঞ্জ থানার নয়ারহাট এলাকায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই কিশোরকে কোচবিহারের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, গুলিবিদ্ধ কিশোরের নাম মহিদিত হোসেন। রবিবার বাড়ির কাছে বাজার থেকে ফিরছিল সে। আচমকা একটি গুলি এসে তার পাঁজরে লাগে। কিশোর লুটিয়ে পড়ে রাস্তায়। প্রতিবেশীদের দাবি, আহত মহিদিতের বাবা মেহবুব আলমের এক বন্ধু ওই গুলি চালিয়েছে। অন্য কাউকে গুলি করতে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি, লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে তা ওই কিশোরের গায়ে লাগে। যদিও পুলিশ জানাচ্ছে, মেহবুবই ছেলেকে গুলি করেছেন। যদিও কী কারণে এই ঘটনা ঘটালেন তিনি, তা এখনও অজানা। এবং অভিযুক্তকে এখনও গ্রেফতারও করেনি পুলিশ।

গুরুতর আহত ওই কিশোরকে প্রথমে দিনহাটা মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। কিন্তু তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় কোচবিহারে স্থানান্তর করা হয়েছে। হাসপাতালে যাওয়ার পথে বালকের বাবা বলেন, ‘‘মাদ্রাসা স্কুলের পিছনে আমার বাড়ি। বাজার থেকে আমার ছেলে ফিরছিল। ওর গায়ে একটা গুলি লেগেছে।’’ যদিও কার ছোড়া গুলি থেকে তাঁর ছেলে জখম হলেন, তা বলতে পারেননি মেহবুব। তিনি বলেন, ‘‘কী ভাবে বলব আমি?’’

এই ঘটনা প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘‘মহিদিত হোসেন নামে বছর এগারোর এক বালককে গুলি করেছে তার বাবা মেহেবুব আলম। গ্রামবাসীরা জখম ছেলেটিকে প্রথমে দিনহাটার এসডি হাসপাতালে ভর্তি করান। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে কোচবিহারের হাসপাতালে রেফার করেছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Shootout at Dinhata
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE