অবশেষে গ্রেফতার হল বধূ ধর্ষণের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত। শনিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের উত্তর বজরাপুকুর এলাকা থেকে পুলিশ অভিযুক্ত ওই তৃণমূল কর্মী রানা ওরফে বিপ্লব চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে।
রবিবার ধর্ষণ, হুমকি, মারধরের মামলা দায়ের করে ধৃত যুবককে বালুরঘাট আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের হেফাজতের আবেদন করে। বিচারক ধৃতকে দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। তবে নির্যাতিতা বধুর অভিযোগক্রমে ধৃতের বিরুদ্ধে পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র রাখার কোনও মামলা দায়ের করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলা পুলিশ সুপার রসিদ মুনির খান বলেন, ‘‘ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন ওই বধূ। তাকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সব কিছুই বের করা হবে।’’ ওই ঘটনায় জড়িত আরও সাত জনকে ধরতে তল্লাশি জারি রয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
গত ১৪ এপ্রিল গভীর রাতে বিপ্লব মিত্র গোষ্ঠীর অনুগামী শঙ্কর মন্ডলের ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূলকর্মীর বাড়িতে বিরুদ্ধ সত্যেন রায় গোষ্ঠীর একদল তৃণমূল কর্মী চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এলাকার তৃণমূল প্রার্থী সত্যেনবাবুর বিরুদ্ধে প্রচার চালানোর অভিযোগ তুলে ৮ জনের ওই দুষ্কৃতী দল তার বাড়িতে হানা দেয়। এবং তার উপরে গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে তিনি রক্ষা পান। এরপর হামলাকারী তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা ঘরে ঢোকে। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে অভিযুক্ত রানা ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে বলে ওই বধূ পর দিন তপন থানায় ৮ জনের নাম দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য অভিযুক্তদের লাগাতার চাপ ও হুমকির জেরে নির্যাতিতা মহিলা আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র লুকিয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। তার স্বামী ওই তৃণমূল কর্মীও এলাকা ছাড়া।
তৃণমূলের নেতার গোষ্ঠীদ্বন্দ্রে কথা অস্বীকার করলেও আরএসপির জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী দাবি করেন, ‘‘শাসক দল জড়িত থাকাতেই অভিযুক্তকে ধরতে সময় নিল পুলিশ।’’ তারপরে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বও অভিযুক্তদের পাশে দাঁড়াবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়ার পর পুলিশ নড়ে বসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy