ভিনরাজ্য থেকে কাজ সেরে ফেরা ৮ বাংলাদেশি যুবককে আটক করেছে বিএসএফ। শুক্রবার ভোরে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ওই ৮ জনকে আটক করে বিএসএফের ৬৬ নম্বর ব্যাটেলিয়ান। আটক যুবকদের জেরা করার জন্য ব্যাটেলিয়ানের রাধাবাড়ি ছাউনিতে নিয়ে যাওয়া হয়। বিএসএফ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ধৃতেরা সকলে চেন্নাইয়ের একটি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কোম্পানিতে কাজ করত। সেখান থেকে সকলে নিউ জলপাইগুড়ি ফিরে শিলিগুড়ি লাগোয়া ফুলবাড়ি অথবা জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া বেরুবাড়ি এলাকার সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বলে অভিযোগ। একই ভাবে এরা বাংলাদেশের নীলফামারি গ্রাম থেকে শিলিগুড়ি পৌঁছে মাস খানেক আগে চেন্নাইতে কাজে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। ধৃতদের থেকে প্রায় ২৫ হাজার টাকা এবং ৮টি মোবাইল উদ্ধার করেছে বিএসএফ। উদ্ধার করা মোবাইল থেকে অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত নানা তথ্য মিলবে বলে হয়েছে। এ দিন দুপুরেই আটকদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ। ভক্তিনগর থানা যুবকদের গ্রেফতার করেছে।
শিলিগুড়ি পুলিশের এসিপি (পূর্ব) পিনাকী মজুমদার বলেন, ‘‘ধৃতদের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে সীমান্ত পারাপারের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। বেশ কিছু তথ্যও মিলেছে।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ শনিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হবে।
বাংলাদেশি যুবকদের একটি দল শুক্রবার ভোরে দক্ষিণ ভারত থেকে আসা একটি ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছবে বলে বিএসএফের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানানো হয়। সেই মতো ৬৬ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা সাদা পোশাকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে অপেক্ষা শুরু করে। ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ দলটি স্টেশনে পৌঁছতেই জওয়ানরা পিছু ধাওয়া শুরু করে। দলের সঙ্গে আরও কাদের যোগাযোগ রয়েছে, বা কাদের সঙ্গে দলটি দেখা করে তা জানার জন্য অন্তত ৩ কিলোমিটার পিছু করে সাদা পোশাকের বিএসএফ জওয়ানরা। তিনবাতি মোড় লাগায়ো এলাকায় জওয়ানরা দলটিকে ধরে ফেলে। যদিও, বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই দলের এক যুবক পালিয়ে গিয়েছে। তবে বিএসএফের এক অফিসারের কথায়, ‘‘কোনও সমস্যা হবে না। আটকদের জেরা করে যে তথ্য আমরা পেয়েছি, তাতে অনুপ্রবেশের সঙ্গে জড়িত আরও অনেকে ধরা পড়বে।’’
বিএসএফ সূত্রের খবর যুবকদের থেকে বেশ কয়েকটি এটিএম কার্ডও উদ্ধার হয়েছে। সীমান্ত এলাকার কিছু স্থানীয় ‘এজেন্ট’দের মাধ্যমে ওই যুবকরা নিয়মিত সীমান্ত পারাপার করত বলে অভিযোগ। আটকদের জেরা করে বিএসএফ জানিয়েছে, দক্ষিণ এবং উত্তর ভারতে এমন অনেক বাংলাদেশি নাগরিক ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। ফুলবাড়ি, বেরুবাড়ি এবং হলদিবাড়িতে এজেন্টের কাজ করা ব্যক্তিদের ধরতে পারলে অনুপ্রবেশকারীদের সবিস্তার তথ্য মিলবে বলে বিএসএফের দাবি। ইতিমধ্যে আটকদের থেকে বাগডোগরার এক বাসিন্দার নাম ও ঠিকানা জানতে পেরেছে বিএসএফ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy