নজরদার: বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বেরুবাড়ি এলাকায় বিএসএফের টহলদারি। নিজস্ব চিত্র।
আর্ন্তজাতিক সীমান্ত থেকে দূরে শহর এলাকায় বাড়ি ভাড়া খুঁজছেন বিএসএফের গোয়েন্দারা, সূত্রের খবর এমনটাই। জলপাইগুড়ির শহরতলিতে একটি বাড়ি বিএসএফের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকদের পছন্দও হয়েছে বলে দাবি। সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি এবং ধূপগুড়িতেও একই উদ্দেশ্যে বাড়ি ভাড়া খোঁজার কাজ চলছে বলে খবর।
সম্প্রতি বিএসএফের এক্তিয়ারভুক্ত এলাকার পরিধি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরের এলাকা বিএসএফের এক্তিয়ারভুক্ত করা হয়েছে। সেই হিসেবে জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি এবং ধূপগুড়ি শহর এলাকাও বিএসএফের সেই এক্তিয়ারের আওতাতেই আসছে। বাড়ি ভাড়া খোঁজার সঙ্গে এই নির্দেশিকা, অর্থাৎ এক্তিয়ার বৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা অবশ্য বিএসএফের তরফে জানানো হয়নি। এ দিকে, জলপাইগুড়ি জেলার সীমান্তে চৌকি বা ক্যাম্প বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই মতো প্রশাসনের কাছে জমি চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিএসএফ। জেলার কাঁটাতারহীন সীমান্তে বেড়া দিতেও শুরু করেছে বিএসএফ।
সূত্রের দাবি, বিএসএফ যে বাড়িগুলি ভাড়া চাইছে সেগুলিতে গাড়ি রাখার সুবিধেও থাকতে হবে বলে জানানো হয়েছে। অন্তত চার-পাঁচ জনের থাকার মতো বাড়ি খোঁজা হচ্ছে। বাসস্ট্যান্ড বা স্টেশনের কাছাকাছিই বাড়ির খোঁজ করছেন আধিকারিকেরা। বিএসএফের এক আধিকারিকের কথায়, “এলাকার পরিধি বেড়ে যাওয়ায় নজরদারিও বাড়াতে হবে। সীমান্তের চৌকি থেকে ৫০ মিটার দূরে নজরদারি করা বা নজরদারির পরিকল্পনা চালানো— দুইয়ের কোনওটাই সম্ভব নয়।” যদিও বিএসএফের একটি সূত্রের দাবি, এলাকা বৃদ্ধির কারণে যদি শহর এলাকায় বিএসএফ সরকারি ভাবে কোনও কন্ট্রোল রুম খোলে, তা হলে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশকে জানিয়েও করা হবে।
বিএসএফ সূ্ত্রের দাবি, সীমান্তে নতুন করে সাতটি চৌকি অর্থাৎ আউটপোস্ট (বিওপি) তৈরি করতে জলপাইগুড়ির জেলা প্রশাসনের কাছে জমি চাওয়া হয়েছে। কাঁটাতারের বেড়া বসানোর জন্যও জমি চাওয়া হয়েছে প্রশাসনের থেকে। বিএসএফ সূত্রের দাবি, ফুলবাড়ি সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বসানোর জন্য জমি মিলেছে।
জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, “বিএসএফের আবেদনগুলি যথাযথ আইন এবং নিয়ম মেনে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy