দুর্গা পুজোর আগে পরেই বক্সাব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে দেখা মিলবে অসম থেকে আনা তিনটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের।
ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্র মিলেছে। অসম সরকারও বাঘ পাঠানোর বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া জঙ্গলে বাঘেদের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য তৈরি হবে এনক্লোজার। মধ্যপ্রদেশের পান্না ব্যাঘ্র প্রকল্পের অনুকরণেই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে এ ভাবে বাঘেদের ফিরিয়ে আনছে বন দফতর।
বনকর্তারা জানান, এক সময় বাঘের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের পান্না ব্যাঘ্র প্রকল্পে। অবস্থা পাল্টাতে অন্য জায়গা থেকে সেখানে বাঘ আনা হয়েছিল। সেই উদ্যোগ সফল হয়। ধীরে ধীরে পান্নায় বৃদ্ধি পায় বাঘেদের সংখ্যা। পান্না ব্যাঘ্র প্রকল্পের অনুকরণেই বাংলার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে বাঘ আনার সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে।
রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন জানান, পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য শুধু মাত্র বাঘেদের এনক্লোজার তৈরি বাকি। প্রথম পর্যায়ে দুই থেকে আড়াই বছরের দুটি স্ত্রী ও একটি পুরুষ বাঘ আনা হবে বক্সায়। দ্বিতীয় পর্যায় বাঘ আনা হবে জলদাপাড়ায়।
দুর্গাপুজোর আগে পরেই আনা হবে সেই বাঘ। তাতে পর্যটকদের সংখ্যাও বাড়বে বলে আশা করছেন বন দফতরের আধিকারিকেরা। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি কল্যান রাই জানান, যেহেতু পান্না এ ব্যাপারে পথ দেখিয়েছে তাই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিক ও বনকর্মীদের পান্নায় পাঠানো হবে প্রশিক্ষণের জন্য। বাঘেদের উপর নজরদারি চালাতে জঙ্গলে ছাড়ার আগে তাদের রেডিও কলার পরানো হবে। যাতে সর্বক্ষণ তাদের নজরে রাখা যায়।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকরা জানান, রাজাভাতখাওয়া জঙ্গলে প্রায় সাত একর জায়গার উপর তৈরি হবে বাঘেদের এনক্লোজার। কিছুদিন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পর সেই বাঘেদের গভীর জঙ্গলে ছাড়া হবে। বাঘেদের গতিবিধি নজরে রাখতে জয়ন্তী, আদমা ও পানা রেঞ্জে তৈরি করা হয়েছে বেশ কিছু টাওয়ার।