দিল্লির ভোটে বিজেপির জয় পাহাড়ের রাজনীতিতে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছে আঞ্চলিক দলগুলির একাংশ। যদিও বিজেপির দাবি, দিল্লির জয় নিশ্চিত করছে যে দার্জিলিং পাহাড়ও তাদের পক্ষে থাকবে। আর কয়েক মাস পরে পাহাড়ের তিন পুরসভায় ভোট হওয়ার কথা৷ সেই ভোটে বিজেপি এই জয়ের রেশ ধরেই এগোতে চাইছে।
পাহাড়ে জিটিএ’তে ক্ষমতায় থাকা অনীত থাপার প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার দাবি, পাহাড়ের রাজনীতির সঙ্গে দিল্লিকে মেলালে চলবে না। দলের অন্যতম মুখপাত্র শক্তিপ্রসাদ শর্মার কথায়, ‘‘পাহাড়ে লোকসভা ভোটের সময় বিজেপি কিছুটা সুবিধা পায়, তা-ও আঞ্চলিক দলগুলির একাংশকে সঙ্গে নিয়ে। কিন্তু বিধানসভা বা পাহাড়ের ভোট হলে তারা পিছনে চলে যায়। আঞ্চলিক দলগুলির ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই দিল্লিতে বিজেপি জিতল কিনা, সেটা পাহাড়ের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক নয়।’’ একই সুরে পাহাড়ের তৃণমূল নেতৃত্বও সে কথা বলে করছেন। তাদের দাবি, দিল্লিতে কী হল তাতে কি পাহাড়ের সমস্যা মিটবে?
দিল্লির নির্বাচনে দলের হয়ে প্রচারে দেখা গিয়েছে দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তাকে। তাঁর দাবি, ‘‘আপের সঙ্গে তৃণমূলের মিল রয়েছে। আপের মতো এ রাজ্যে তৃণমূলকে মানুষ প্রত্যাখান করবে। পাহাড়ের মানুষ বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন।’’
বিজেপি পাহাড় নিয়ে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি এখনও পালন করেনি বলে অভিযোগ জিএনএলএফ-এর মতো দলগুলির। জিএনএলএফের মুখপাত্র ইয়ানতাং লামা বলেন, ‘‘বিজেপি পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণ হয়নি।’’ তবে পাহাড়ের নেতা বিনয় তামাং বিজেপিকে এই জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির নীতির পক্ষে মানুষ রায় দিয়েছে তা এই জয় থেকে বোঝা যাচ্ছে। বিজেপি নেতৃত্বকে অভিনন্দন। এর প্রভাব এ রাজ্যে তথা পাহাড়, ডুয়ার্স তরাইতেও পড়বে।’’ লোকসভা নির্বাচনে পাহাড়ে তৎকালীন হামরো পার্টির সভাপতি, বর্তমানে গোর্খা জনশক্তি ফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক অজয় এডওয়ার্ড কংগ্রেসকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। তিনিও বলেন, ‘‘পাহাড়ের রাজনীতির সঙ্গে দিল্লির জয় গুলিয়ে ফেললে চলবে না।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)