E-Paper

রাস্তা থেকে গরু তাড়াতে ছুটলেন পুরপ্রধান

শহরের কিছু বাসিন্দা পুরপ্রধান, পুরপ্রতিনিধিদের একাংশকে গরুর পিছনে এ ভাবে ছুটতে দেখে মুখ টিপে হেসেছেন।

পার্থ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৪ ০৯:০৪
আলিপুরদুয়ারে পুরসভা এলাকায় গরু ধরার অভিযানে চেয়ারম্যান প্রসেন্জিৎ কর।

আলিপুরদুয়ারে পুরসভা এলাকায় গরু ধরার অভিযানে চেয়ারম্যান প্রসেন্জিৎ কর। নিজস্ব চিত্র।

শহরের রাস্তায় আগে ছুটছে গরু। তার পিছনে ছুটছেন খোদ পুরপ্রধান। বৃহস্পতিবার দুপুরে আলিপুরদুয়ার শহরের রাজপথে এমনই দৃশ্যের সাক্ষী রইলেন এলাকাবাসী। ছুটে গিয়ে কলেজ হল্ট লাগোয়া সরকারি আবাসনের সামনে একটি গরু ধরেও ফেলেন পুরপ্রধান প্রসেনজিৎ কর। সঙ্গে সঙ্গে গলায় দড়ি বেঁধে সে গরুকে বাগে আনার চেষ্টা শুরু করেন পুরপ্রধানের সঙ্গে থাকা কয়েক জন পুরপ্রতিনিধি ও পুরকর্মী। কিন্তু আচমকা দড়ি নিয়ে সেই গরু ফের দৌড় মারে। ফের তার পিছনে ফের ছুটতে শুরু করেন পুরপ্রধান-সহ অন্যেরা।

শহরের কিছু বাসিন্দা পুরপ্রধান, পুরপ্রতিনিধিদের একাংশকে গরুর পিছনে এ ভাবে ছুটতে দেখে মুখ টিপে হেসেছেন। কেউ আবার বলেছেন, শহরের রাজপথে যে ভাবে গরু চড়ে বেরায়, তাতে পুরপ্রধানের এমন পদক্ষেপ ‘যথাযথ’। বাসিন্দাদের মতামত যা-ই থাকুক না কেন, পুরসভার এই কর্মসূচি ও তা ঘিরে পুরপ্রধান ও পুরপ্রতিনিধিদের ভূমিকা শহর জুড়ে এ দিনের চর্চার বিষয় ছিল। পুরসভার কর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, শহরের রাস্তাকে ‘গরু-মুক্ত’ করতে এই অভিযান এখন থেকে
লাগাতার চলবে।

আলিপুরদুয়ার শহরের রাস্তায় গরু চড়ে বেড়ানোর ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। অভিযোগ, শহরের ‘লাইফলাইন’ বক্সা-ফিডার রোড থেকে শুরু করে বিভিন্ন অলিগলিতে দিনের বিভিন্ন সময় গরু চড়ে বেড়ায়। রাতের দিকে আবার বক্সা-ফিডার রোডের একাংশে বসে থাকা গরুর লম্বা লাইনও দেখা যায়। অভিযোগ, এর ফলে, মাঝেমধ্যেই শহরের রাস্তায়
দুর্ঘটনা ঘটে।

পুরপ্রধান বলেন, “দুর্ঘটনা রুখতে গৃহপালিত এই গবাদি পশু যাতে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া না হয়, সে জন্য একাধিক বার শহর জুড়ে পুরসভার তরফে প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। সে জন্যই এ দিন থেকে শহরকে ‘গরু-মুক্ত’ করার অভিযান শুরু হয়েছে, যা লাগাতার চলবে।”

পুরসভার কর্তারা জানিয়েছেন, এ দিন দুপুরে শহরের নিউটাউন, বলাই মোড় ও কলেজ হল্ট সংলগ্ন একটি সরকারি আবাসনের সামনে থেকে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো কয়েকটি গরু ধরা হয়। রাতে পুরকর্মীরা এগারো হাত কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকা ও নিউটাউন মহাকাল মোড়েও অভিযান চালান। আলিপুরদুয়ারের পুর-কর্তারা জানান, আপাতত ধরা পড়া গরুগুলি তাঁদের হেফাজতে থাকবে। এক মাসের মধ্যে গরুর মালিকানা কেউ দাবি না করলে, সেগুলি গরিব মানুষের মধ্যে বিলি করে দেওয়া হবে। আর এক মাসের মধ্যে কেউ গরুর মালিকানা দাবি করলে, গরু ফেরতের আগে তাঁর কাছ থেকে জরিমানাও আদায় করা হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jalpaiguri

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy