E-Paper

পুরপ্রধান জলা ভরাট রুখে দিলেন, কটাক্ষ ‘তৎপরতায়’

বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে পুরাতন মালদহ পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ। দিনের পর দিন বৃষ্টির জলে একাধিক এলাকা প্লাবিত হয়ে থাকে।

অভিজিৎ সাহা

শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪ ০৮:৩৩

Sourced by the ABP

উঁচু প্রাচীরের আড়ালে সরকারি জলাজমি বেআইনি ভাবে ভরাট করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে জলাজমি ভরাট রুখলেন পুরপ্রধান। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদহ পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের খয়রাতিপাড়ায়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানোর হুঁশিয়ারি দেন পুরপ্রধান কার্তিক ঘোষ। তিনি বলেন, “পুরসভা বেআইনি ভাবে জলাজমি ভরাটের বিরুদ্ধে তৎপর। এ দিন পুলিশকে নিয়ে বেআইনি জলা ভরাটের চেষ্টা আটকেছি। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে অভিযোগ জানানো হয়েছে। যেটুকু মাটি ফেলা হয়েছে, তা পুনরায় তুলে ফেলা হবে।” পুরসভার প্রধানের আচমকা এই ‘তৎপরতা’ নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।

বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে পুরাতন মালদহ পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ। দিনের পর দিন বৃষ্টির জলে একাধিক এলাকা প্লাবিত হয়ে থাকে। পরিস্থিতির জন্য শহরে ‘যথেচ্ছ জলাশয় ভরাটকে’ দুষেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, জলাশয় বেআইনি ভাবে ভরাটে সক্রিয় মাটির অবৈধ কারবারিরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভা ও প্রশাসনের একাংশকে কাজে লাগিয়ে একাধিক জলা ভরাটের কারবার চালায় তারা।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলাজমি ভরাটের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিতেই তৎপর হয়ে উঠেছে প্রশাসন। সম্প্রতি, ইংরেজবাজার শহরের টিয়াকাটি, পুরাতন মালদহের মুচিয়ায় ভরাট হয়ে যাওয়া জলাশয় পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। এ দিন মঙ্গলবাড়ি ফাঁড়ির ওসি সুবীর সরকারকে সঙ্গে নিয়ে শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের খয়রাতি পাড়ার জলাশয় ভরাট আটকান পুরপ্রধান। স্থানীয়দের দাবি, জলাশয়ের পাশে তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত ইব্রাহিম নাদাবের জমি রয়েছে। প্রাচীর গিয়ে তিনি তাঁর জমি ঘিরে রেখেছেন। অভিযোগ, প্রাচীরের আড়ালে, মাটি ফেলে জলাশয় ভরাটের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। জলাশয়টি ভরাট হয়ে গেলে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পাশাপাশি, শহরের একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়বে। ইব্রাহিম বলেন, “জলাশয়ে মাটি ফেলা হয়নি। নিজের জমিতেই মাটি ফেলেছি। পুরপ্রধান নিষেধ করেছেন। আর ফেলা হবে না।” বিজেপির উত্তর মালদহের সভাপতি, শহরের বাসিন্দা উজ্জ্বল দত্ত বলেন, “পুরসভা প্রথম থেকেই তৎপর হলে শহরের মধ্যে থাকা একের পর এক জলাশয় ভরাট হয়ে যেত না।” কার্তিক অবশ্য দাবি করেন, “অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Old Malda Municipality Old Malda

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy